পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কবি নজরুল সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণীর ফাইনাল পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্ন আগের রাতেই ফাঁস হয়েছে। পরে সেই প্রশ্ন দিয়েই মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) কলেজে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে কলেজ শিক্ষকদের জড়িত।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক একাদশ শ্রেণীর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি পরীক্ষার আগের রাতে প্রশ্নটি পেয়েছি। এক বন্ধু গতকাল সন্ধ্যায় (৩০ অক্টোবর) ম্যাসেঞ্জারে পাঠিয়েছে। আমি এত গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু আজ পরীক্ষা দিতে এসে দেখি হুবহু একই প্রশ্ন।
একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর এক অভিভাবক বলেন, এই কলেজের ঐতিহ্য ও পড়াশোনার মান সম্পর্কে আমার ভালো ধারণা ছিল। কিন্তু আজ আমার ছেলের কাছে শুনলাম তার বন্ধু-বান্ধবরা আজকের পরীক্ষার প্রশ্ন গতকালকেই পেয়েছে। পরীক্ষা দিতে গিয়ে এটা শুনে সে হতাশ। আমি চাই প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে যারা জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।
ফাঁস হওয়া প্রশ্ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলছেন, যত্রতত্র গড়ে ওঠা কোচিং সেন্টারের বাণিজ্য চাঙ্গা করতেই এসব প্রশ্ন ফাঁস করা হচ্ছে। কলেজ কিংবা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অবহেলাই এসব অপকর্মের জন্য জড়িত।
কলেজের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এ বি এস এ সাদী মোহাম্মদ বলেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর বিষয়টি আমরা জেনেছি। এর আগে জানলে অবশ্যই পরীক্ষা স্থগিত করা হতো। আমরা আগামীকাল পরীক্ষা কমিটি ও শিক্ষকদের সঙ্গে বসে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবো।
কবি নজরুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমেনা বেগমবলেন, আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করে এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তবে পরীক্ষা বাতিল করার বিষয়ে নিয়ে তিনি কিছু বলেননি।