অন্যান্য বছরের মতো এবারও এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ফলের ভিত্তিতে অনলাইনের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালায় জানানো হয়েছে এবার ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ২৬ মে। সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নেওয়া যাবে ৮৫০০ টাকা।
বুধবার (১৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মোছা. রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নীতিমালা প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালায় জানানো হয়েছে, পূর্ববর্তী ৩ (তিন) বছরে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো কলেজ/সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন।
এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণসহ অন্যান্য বছরের শিক্ষার্থীরাও ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবেন।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা তার সনদের মান নির্ধারণের পর উপনীতি (২.১)-এর অধীন ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
ভর্তির আবেদনে একজন প্রার্থী যেভাবে গ্রুপ নির্বাচন করতে পারবেন তা হলো- ১. বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনোটি; ২. মানবিক গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনোটি এবং ৩. ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক গ্রুপের যে কোনোটি।
*যেকোনো গ্রুপ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত গ্রুপের যে কোনোটি, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান গ্রুপে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যে কোনোটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান গ্রুপ ছাড়া যে কোনোটি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যেকোনো গ্রুপে ভর্তির আবেদন করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটের (www.xiclassadmission.gov.bd) মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অনলাইন ব্যতীত সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য কোনো আবেদন নেওয়া যাবে না। একজন শিক্ষার্থী পছন্দ অনুযায়ী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন, সেখান থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ হবে।
তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হিসেবে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আর প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপির শিক্ষার্থীরা বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র পরীক্ষণ বা যাচাই-বাছাইয়ের পর ওই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫০০ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের নন এমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবেন। আর ঢাকা মেট্রোর বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবেন। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবেন। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন ননএমপিও কলেজ ২৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন ননএমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো ও ইংরেজি ভার্সনের এমপিওভুক্ত সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।
জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবেন। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।