ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রহিদুল ইসলাম (১৪) নামের এক মাদরাসাছাত্রকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে তার পরিবার ও স্থানীয়রা।
শনিবার (১২ আগস্ট) সকালে গেদুরা ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া গ্রামে বাড়ির পাশে খড়ের গাদার কাছ তাকে উদ্ধার করা হয়।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রহিদুল ইসলাম উপজেলার গেদুরা ইউনিয়নের পাঁচঘরিয়া গ্রামের সুলতান আলীর ছেলে। সে স্থানীয় ডাবরী গোরস্থান কওমি ও হাফেজিয়া মাদরাসায় পড়াশোনা করে।
রহিদুল ইসলামের মা রোজিনা বেগম জানান, ছেলে নিখোঁজ হলে চারদিকে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশে খড়ের গাদার পাশ থেকে হাত-পা বাঁধা ও পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
ডাবরী গোরস্থান কওমি ও হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান মওলানা আলী হোসেন ঢাকা মেইলকে বলেন, শনিবার ভোর ৪টার দিকে মাদরাসার সকল ছাত্রকে ঘুম থেকে তুলে দেওয়া হয়েছিল। ওই মাদরাসাছাত্র বাথরুমে গিয়ে আর ফিরেনি। পরে জানতে পারি তাকে তার বাড়ির উঠান থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। পরে আমি তার বাসায় যাই।
তিনি আরও বলেন, ওই মাদরাসাছাত্রের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, শনিবার ভোরে তাকে দুজন কালো বোরকা পরা মানুষ তুলে নিয়ে যায় এবং হাত-পা বেঁধে ও মুখে গামছা দিয়ে পেঁচিয়ে বাড়ির পাশে ফেলে রেখে যায়। পরে তার মা ফজরের নামাজ পড়তে ওঠে ছেলেকে দেখতে পায়। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এলাকাবাসিরা বলছেন, কে বা কারা হয়তো এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য বা মাদরাসার সুনাম নষ্টের জন্যে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
হরিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. শামীমুজ্জামান জানান, শনিবার সকাল ৯টার দিকে ওই মাদরাসাছাত্রকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শরীরে কোনো মারধর বা ক্ষতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। সে সুস্থ থাকায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি প্রাথমিক তদন্ত করছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।