মেক্সিকোর সীমান্তবর্তী প্রদেশ কোয়াহুইলার একটি কয়লা খনির সুড়ঙ্গের দেওয়াল ধসে যাওয়ায় গত ৭ দিন ধরে খনিটিতে আটকে আছেন ১০ জন শ্রমিক। ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০০ মিটার গভীরের সেই খনিটিতে গত ৩ আগস্ট ধস নেমেছিল; তখনই আটকা পড়েন তারা।
মাটির গভীরে হওয়ার কারণে খনিটিতে পানিও উঠেছিল। বিশেষ ব্যবস্থায় যন্ত্রের মাধ্যমে সেই পানি বের করাও সম্ভব হয়েছে; কিন্তু খনির বিপুল ধ্বংসস্তুপ ঠেলে উপদ্রুত শ্রমিকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি এখনও।
হতভাগ্য এই শ্রমিকদের সবাই এখন পর্যন্ত বেঁচে আছেন কিনা— তা নিয়েও সংশয় শুরু হয়েছে। উদ্ধার কাজে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীদের সঙ্গে কাজ শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনীও।
মেক্সিকোর প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইস ক্রিসেনসিও বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ক এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ধংসাবশেষের কারণে ওই খনির সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। এমন বিপুল পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ জমেছে যে, উদ্ধার তৎপরতা চালাতে রীতিমত বেগ পেতে হচ্ছে কর্মীদের।’
‘তবে আশার কথা হলো, দুর্ঘটনার পর খনিটিতে পানি উঠছিল। তিনটি শ্যাফটের মধ্যেমে বিশেষ ব্যবস্থায় সেই পানি বের করা হয়েছে।’
ওই কয়লা খনিটি বেসরকারি মালিকানাধীন ছিল। ঘটনার পর থেকেই খনির মালিকের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। মেক্সিকোর আইন ও বিচার বিষয়ক মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।