ভারতের কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার (১৮ জুলাই) রাত আটটা ৩৫ মিনিটে বিজি-৩৯৬ ফ্লাইটটি ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু উড্ডয়নের সময় যান্ত্রিক ত্রুটিতে পড়ে বিমানটি। প্রায় চার ঘণ্টা রানওয়েতে আটকে ছিল বিমানের ফ্লাইটটি। এ সময় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন ১৫৮ জন যাত্রী। পরে ত্রুটি কাটিয়ে রাত ১টা ৩৪ মিনিটে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে বিমানটি।
যান্ত্রিক ত্রুটি বলতে বিমানের বোয়িং-৭৩৭ উড়োজাহাজটিতে কী হয়েছিল তা জানতে চাইলে মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের আগ মুহূর্তে পেছনে ইন্ডিকেটরে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন উড়োজাহাজটি রানওয়ের কাছে রেখে ত্রুটি খুঁজতে থাকেন কলকাতা বিমানবন্দরের প্রকৌশলীরা। এ কাজের জন্য বিমানের এসিসহ অন্যান্য ইঞ্জিন বন্ধ রাখা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা পর ত্রুটি কাটিয়ে উড্ডয়নের প্রস্তুতি নেয় উড়োজাহাজটি। সেই মুহূর্তে আবার একই ত্রুটি ধরা পড়ে এয়ারলাইন্সটির। কিন্তু এ ত্রুটি ঠিক করতে কতো সময় লাগবে, তা বলতে পারেননি প্রকৌশলীরা। এতে গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো উড়োজাহাজ বিমানববন্দর থেকে বের হলে রানওয়ে যাত্রী নামানো বা উঠানোর সুযোগ নেই। আইনে এমনটাই বলা আছে। আর প্রকৌশলীরাও ঠিকমত বলতে পারছিলেন না ত্রুটি সারতে ঠিক কতো সময় লাগবে। পরে সব ত্রুটি সারিয়ে রাত ১২টা ৩৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করে।
ওই উড়োজাহাজের যাত্রী শওকত হোসেন বলেন, উড়োজাহাজে প্রায় চার ঘণ্টা এসি বন্ধ ছিল। এতে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। এর মধ্যে একজন যাত্রী গুরত্বর অসুস্থ হয়ে যান। পরে নিরাপদে রাত একটা ৩৪ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করে উড়োজাহাজটি।