পরিসংখ্যানের পাতায় বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষের নাম সম্ভবত শ্রীলঙ্কা। দুই দেশের ক্রিকেট সক্ষমতা প্রায় সমান। একসময়ের একপাক্ষিক লড়াই শেষে এখন লঙ্কানদের বিরুদ্ধে টাইগারদের লড়াইটাও চলে সমানতালে। এশিয়া কাপের এবারের আসরে দুই দলের এটিই প্রথম ম্যাচ। ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।

সংখ্যায় সংখ্যায় বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা

এখন পর্যন্ত ৫১ বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। মুখোমুখি জয়ের হিসেবে অবশ্য শ্রীলঙ্কাই এগিয়ে। এখন পর্যন্ত ৪০ ম্যাচে জয় পেয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। জয়ের হার ৭৮ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর বাংলাদেশের পক্ষে ফল এসেছে ৯ ম্যাচে। জয়ের হার ১৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

মুখোমুখি দেখায় সর্বোচ্চ রানের হিসেবেও এগিয়ে থাকছে লঙ্কানরাই। ২০০৮ এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। কুমার সাঙ্গাকারার শতরানের পাশাপাশি সনাৎ জয়সুরিয়া এবং চামিরা কাপুগেদেরার অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের  সর্বোচ্চ সংগ্রহটা অবশ্য খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০১৭ সালে কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে ৩২৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের ১২৭ রান সাকিবের অর্ধশতক বাংলাদেশকে সেই ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিল।

সর্বনিম্ম রানের বেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৬ রান। ২০০২ সালে নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিকদের যুগে অল্প রানে আটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোরের ঘটনা এখনও নিশ্চিতভাবেই মনে আছে টাইগার ভক্তদের। ২০১৮ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিয়েছিল মাত্র ১২৪ রানে।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি সাঙ্গাকারার। ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাঙ্গা বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন ১ হাজার ২০৬ রান। এরমাঝে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৮ রান। আর টাইগারদের জার্সিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের দখলে (১ হাজার ২০ রান)।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের কীর্তিও তারই। দুবাইয়ে ২০১৮ সালে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। লঙ্কানদের হয়ে রেকর্ড অবশ্য তিলাকারাত্নে দিলশানের। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

সবচেয়ে বেশি শতকের দিক থেকেও এগিয়ে আছেন সাঙ্গাকারা। বাঁহাতি এই ক্লাসিক্যাল ব্যাটার টাইগারদের বিপক্ষে ৫ বার শতক হাঁকিয়েছেন। আর বাংলাদেশের হয়ে শতক বেশি তামিম ইকবাল এবং মুশফিকের। দুজনেরই আছে দুইটি করে শতক।

বোলিং রেকর্ডেও এগিয়ে লঙ্কানরাই। ক্রিকেট কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন উইকেট নিয়েছেন ৩১ টি। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। দুই দলের খেলায় নড়াইল এক্সপ্রেসের ঝুলিতে আছে ২৬ উইকেট।

সেরা বোলিং ফিগারে অবশ্য নেই এই দুজনের কেউই। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন লঙ্কান পেস কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস। সেদিন ২৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিলেন তিনি। লঙ্কানদের পক্ষে এটিই সবচেয়ে ভাল বোলিং ফিগার। আর বাংলাদেশের স্পিন কিংবদন্তি ৬২ রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। এটিই বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার।

Related Posts

Next Post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Welcome Back!

Login to your account below

Create New Account!

Fill the forms below to register

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.