জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি তার দেশের পরমাণু অস্ত্র রাখার বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি দিয়েছে। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার স্থায়ী মিশন পারমাণবিক অস্ত্র থাকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র সমালোচনা করেছে। এছাড়া তারা পরমাণু প্রযুক্তি ভাগাভাগি এবং এসব অস্ত্রের ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা বৃদ্ধি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
এরপর উত্তর কোরিয়া তাদের পারমাণবিক অস্ত্র রাখা এবং তাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার অধিকারের পক্ষে জোরালো যুক্তি তুলে ধরেছে। জাতিসংঘে উত্তর কোরিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি কিম সং পারমাণবিক অস্ত্র রাখার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।
শনিবার কেসিএনএ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কিম সং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ও.কে.ইউ.এস বা ওকোস জোট এবং পারমাণবিক উপদেষ্টা কমিটির ব্যাপারে আমেরিকার কড়া সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক শক্তি পিয়ংইয়ংয়ের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে যারা সম্মান করে তাদের জন্য কখনই হুমকি হবে না।
ওকোস হলো একটি ত্রিপক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রিটেন অস্ট্রেলিয়াকে পারমাণবিক সাবমেরিন তৈরি ও স্থাপনে সাহায্য করতে গঠিত হয়েছে। এই জোটের মাধ্যমে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে পাশ্চাত্যের সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করা হবে।
উত্তর কোরিয়ার এই কূটনীতিক বলেন, পিয়ংইয়ং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনটিপি) সদস্য নয়। এনপিটি’তে স্বাক্ষরকারীদের পক্ষে উত্তর কোরিয়ার সার্বভৌমত্ব রক্ষার বৈধ অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন কিম সং।
এনটিপি চুক্তিটি ১৯৬৭ সালের জানুয়ারিতে কয়েকটি সীমিত দেশের মধ্যে হয়েছিল। বর্তমানে ১৮৯টি দেশ এই পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ সুদান এবং ইসরায়েল এখনও এই চুক্তি মেনে নেয়নি। যুক্তরাষ্ট্র চুক্তি লঙ্ঘনের পর উত্তর কোরিয়াও এনটিপি থেকে বেরিয়ে এসেছে।
পিয়ংইয়ং বলছে, ওয়াশিংটন উত্তর কোরিয়ার সরকার উৎখাতের বৈরী নীতি পরিহার না করা পর্যন্ত তারা তাদের প্রতিরক্ষা কর্মসূচির উন্নয়ন থেকে পিছপা হবে না।