বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, সরকারের ওপর আস্থা রয়েছে বলেই বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে চায় আমেরিকান কোম্পানিগুলো। তারা খোলা হাতে বিনিয়োগ করতে চায়।
বুধবার (৩০ আগস্ট) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিনিধিদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার বড় কোম্পানিগুলো এসেছে, অনেকে পার্টনার হতে চায়। তারা বিনিয়োগের ক্ষেত্র চিহ্নিত করতে চায়। আমরা গত মে মাসে আমেরিকা সফরের সময়ে তাদের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থাপনা দিয়েছিলাম। ওয়াশিংটন ডিসিতে সম্মিলিতভাবে বৈঠক করি, ওয়ান টু ওয়ান বৈঠকও হয়। সেখানে আমরা বলেছিলাম, বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে আগামী ১৫ বছরে ৭৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ দরকার। তখন তারা আগ্রহ দেখায়। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের বৈঠক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ৮০ শতাংশ ব্যবসা-বাণিজ্য আমেরিকান কোম্পানির সঙ্গে। আমাদের গ্যাসের ৪৫ শতাংশ আমেরিকান কোম্পানি শেভরন সরবরাহ করছে। আমদানিকৃত এলএনজিও আসছে মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেটর এনার্জির মাধ্যমে। কোম্পানিটি পায়রায় আরও একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করবে। ২০২৬ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে পায়রায় ওই এফএসআরইউ স্থাপন করবে। কোম্পানিটি এফএসআরইউ এর পাশাপাশি পাইপলাইন নির্মাণ করবে। সেখান থেকে খুলনা, সিরাজগঞ্জ ও রংপুরে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলে তাদের বড় বড় কোম্পানিগুলো সদস্য। যাদের বাংলাদেশ বিনিয়োগ ও ব্যবসা রয়েছে। তাদের সঙ্গে ভালো আলোচনা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মার্কিন কোম্পানি এক্সোন মবিল চিঠি দিয়েছেন। আমাদের আলোচনার ভিত্তিতে তারা দ্বিতীয় দফায় প্রস্তাবনা দিয়েছে। আমাদের কথা হচ্ছে উইন উইন সিচুয়েশন হতে হবে। পিএসসি সংশোধন করায় গভীর সমুদ্রে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভে চলছে, ২ডি সার্ভের তথ্য পেলে আরও আগ্রহ বাড়বে।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বৈঠকে বিজনেস নিয়ে কথা বলেছেন, এখানে কোনো রাজনৈতিক বিষয় আসেনি। তারা ৩২ নম্বরে গেছে, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। তারা সরকারের ওপর আস্থাশীল।
বৈঠকে শেভরন বাংলাদেশ, এক্সোন মবিল, জিই, এইচএসবিসি, মাস্টারকার্ড, প্রাভা হেলথ, স্ট্যান্ডার্ড চ্যাটার্ড, ভিসা, বৈঠকে বোয়িং, মেটা, মেটলাইফ, উবার, ব্ল্যাকস্টোনসহ বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিগণ অংশ নেন।