মেগা প্রকল্পসহ দেশে দৃশ্যমান উন্নতি হলেও অনেকেই তা স্বীকার করতে চান না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, অনেকে কিছুই দেখেন না। এই যে বাংলাদেশ এগিয়েছে, এই যে চারদিকে এতকিছু দৃশ্যমান যা আমরা দেখি সেটা তো সত্য। সেই জিনিসটা অনেকে স্বীকার করতে চান না। দৃশ্যমান যে উন্নতি হয়েছে সেটা যদি না হতো তাহলে ২০২৬ সালে আমরা গ্র্যাজুয়েশনের সুযোগটা পেতাম? সত্যটা হলো আমাদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে। কিন্তু দেখেও যারা না দেখতে চান, তাদের তো দেখানো সম্ভব না।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলনের প্রথমদিন ‘জাতীয় উন্নয়নে ভ্যাটের ভূমিকা: বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর) আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।
এসময় আগারগাঁওয়ে নতুন ভবনের কথা তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশেই আপনাদের (এনবিআর) নতুন অফিস করা দরকার। আপনারা তো অনেক টাকা বাঁচিয়েছেন। ৪৫১ কোটি টাকা ছিল, সেখান থেকে ৪১২ কোটি টাকায় করেছেন। প্রায় ৩০-৪০ কোটি টাকা বাঁচিয়েছেন। সাধারণত এটা দেখা যায় না। দেখা যায়, শেষের দিকে এসে খালি কাগজ আসে টাকা বাড়ানোর জন্য। এটা ভারি সুন্দর একটা দিক।
তিনি আরও বলেন, আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ দরকার। ডিজিটাল শেষ করে স্মার্টের দিকে এগোচ্ছি। লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে আপনাদের কাজগুলো স্মার্ট হতে হবে। সেজন্য বিভিন্ন প্রক্রিয়ার কথা শুনলাম, বিভিন্ন রকমের অটোমেশনের কথা আসছে। আমি খুব আশাবাদী, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের কাজ আমাদের এগিয়ে নেবে। ২০৩০ সাল, ২০৩১ সাল, ২০৪১ সাল এবং চূড়ান্তভাবে ২১০০ সাল- এই সবগুলো প্ল্যান করেই এগোচ্ছে বাংলাদেশ।
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে কিছু ব্যাপারে আমরা সমন্বয়ের কথা বলি। এটা ভালোর জন্যই। আপনাদের আমাদের মিলিত চেষ্টায় সেটা করতে চাই। ২০২৬ সালে কাস্টমস ডিউটির ওপর চাপ পড়বে। সমস্যা আসতে শুরু করবে। তখন টাকাটা তেমন আসবে না। আপনাদের ভ্যাটের পরিধি ও ইনকাম ট্যাক্সে নজর দিতে হবে। এর নেটটা (করজাল) বিস্তৃত করতে হবে। এখন আয়কর নিতে গেলেই মানুষের অপছন্দের কারণ হয়ে উঠবেন আপনারা। ট্যাক্স দিতে চায় না কেউ, সেখানেও আপনাদের পজিটিভ ভূমিকা নিতে হবে।