চাপ! সম্প্রতি বাংলাদেশ দল যতবার মাঠের পারফরম্যান্সে খারাপ করেছে, ততবারই আলোচনায় ক্রিকেটারদের মানসিক চাপ। এই মানসিক চাপের উৎস হিসেবে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে সংবাদমাধ্যম আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। মিডিয়া আর সমর্থকদের দোষারোপ করার সংস্কৃতি বাংলাদেশ ক্রিকেটে নতুন নয়। সেটিই যেন আরো একবার মনে করিয়ে দিলেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দল টি-টোয়েন্টি ভালো করতে না পারার কারণ হিসেবে ডমিঙ্গো দুষলেন সমর্থক ও মিডিয়াকে।
বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ফরম্যাটে অপ্রতিরোধ্য গতিতে ছুটলেও টি-টোয়েন্টিতে ঠিক যেন তার উল্টোটা। সাদা বলের দুই ফরম্যাটের ব্যবধান নিয়ে প্রশ্নের পিঠে প্রশ্ন জমা হচ্ছে। টাইগার হেড কোচ ডমিঙ্গো এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘দুটোই সীমিত ওভারের হলেও টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের মধ্যে অনেক তফাৎ আছে। সঠিক কারণ বলা কঠিন। টি-টোয়েন্টিতে বাউন্ডারি হিটিং বড় একটা ব্যাপার। আমরা জানি আমাদের উন্নতির কিছু জায়গা আছে। অনুশীলনে এসব নিয়ে কাজ করছি।’
এবারের উইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতেও বিধ্বস্ত লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অথচ ওয়ানডেতে ফিরেই এক ম্যাচ হাতে রেখে তিন ম্যাচের সিরিজটি নিজেদের করে নিয়েছে সফরকারীরা। আজ রোববার গায়ানায় তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মাঠে নামার আগে ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, এখন ওয়ানডে নিয়ে ভাবনা নেই তাদের। চলতি বছর বিশ্বকাপকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের ধ্যানজ্ঞান এখন কুড়ি ওভারের সংস্করণ নিয়ে।
সংবাদমাধ্যমকে ডমিঙ্গো বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডে বিশ্বকাপ এখনো ১৫ মাস দূরে। এখনো অনেক সময় আছে, অনেক ম্যাচ খেলা হবে। এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। আমাদের আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতে হবে। বাংলাদেশ কখনো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ জিতেনি (মূল পর্বে)। তাই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটই আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ। একইসাথে ম্যাচ জিততেও আমরা মরিয়া।’
সঙ্গে যোগ করেন ডমিঙ্গো, ‘আমাদের ভালো বোলিং অ্যাটাক আছে। চাপ সামলানো গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের মতো একটি ক্রিকেটপ্রেমী দেশের ক্রিকেটাররা অনেক চাপ অনুভব করে। মানুষ কী বলছে, মিডিয়া কী বলছে এসব চাপ সৃষ্টি করে। তাই মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, শান্ত থাকতে হবে, প্রতি বল নিয়ে ভাবতে হবে।’