‘খুনের বদলায় খুন হয়েছেন অভয়নগরের সুব্রত মণ্ডল’ এমন কথাই আলোচিত হচ্ছে এলাকায়। বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে যশোরের অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন সুব্রত মণ্ডল (৪৮)।
সুব্রত ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক খন্দকার রকিবুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। কিছুদিন আগে তিনি ওই মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। ভবদহ এলাকায় তার একটি মৎস্য আড়ৎ রয়েছে। তিনি দামুখালী গ্রামের মৃত অনাদী মণ্ডলের ছেলে।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ১২ মে একই স্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফুলতলা বাজার বণিক কল্যাণ সোসাইটির ক্রীড়া সম্পাদক ও নিষিদ্ধ চরমপন্থি দলের সদস্য খন্দকার রকিবুল ইসলাম খুন হয়েছিলেন। ওই মামলার আসামি হিসেবে আটকও হয়েছিলেন সুব্রত। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় অবস্থান করছিলেন। ‘রকিবুল হত্যাকাণ্ডের বদলা হিসেবে সুব্রতকে হত্যা করা হয়েছে’ এমন গুঞ্জন এলাকায় রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার (১১ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের দামুখালী গ্রামে দত্তগাতী দামুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানের সামনে সুব্রত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী চায়ের দোকানী শীলা মণ্ডল জানান, সকাল আনুমানিক ৮টার দিকে তার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন সুব্রত মণ্ডল। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা অজ্ঞাত দুই যুবক সুব্রত মণ্ডলের কাছে গিয়ে পিস্তল ঠেকিয়ে চার রাউন্ড গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর চলে যান।
নিহতের পরিবার জানান, প্রতিদিনের মতো বুধবার সকালে সুব্রত বাড়ি থেকে বেরিয়ে দত্তগাতী দামুখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চায়ের দোকানে যান। পরে জানতে পারি সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করেছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারপূর্বক শাস্তির দাবি করেন তারা।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান তারা। রাস্তার ওপর পড়ে থাকা মরদেহের মাথা, বুকের পাশে ও পিঠে তিনটি গুলি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে থেকে পিস্তলের গুলির একটি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ যশোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ শুরু করেছে।