নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমরা কোনো ধরনের অনিয়মের পক্ষপাতিত্ব করি না বা অনিয়মকে প্রশ্রয় দেই না এবং দেবোও না।
তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে করার জন্য আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে অনিয়মের কারণে গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল। ওই নির্বাচনে অনিয়মের দায়ে ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিয়েছি।
মঙ্গলবার (০৩ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইসি আহসান হাবিব খান বলেন, অনিয়মের কারণে গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সতর্কতার সঙ্গে গাইবান্ধার প্রত্যেকটা সিচুয়েশন আমরা মনিটরিং করছি, নির্দেশনা দিচ্ছি ও অ্যাকশন নিচ্ছি। কোনো অনিয়মকে একেবারে প্রশ্রয় দেবো না। জাতির সামনে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ও আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
ভোটে প্রচারণা বন্ধ হওয়ার পর কেউ কেউ প্রচারণার চেষ্টা করেছেন জানিয়ে এই কমিশনার বলেন, আমরা এগুলো কঠিনভাবে দমন করেছি। সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অনিয়মের পুনরাবৃত্তি হলে তা দেখে পর্যালোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
অনিয়মের কারণে গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে ইসি। পরে ৪ জানুয়ারি এ আসনে ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে সবগুলো কেন্দ্র সিসি টিভি ক্যামেরা দিয়ে ঢাকার নির্বাচন ভবনে বসে মনিটরিং করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। ভোটে অনিয়ম ধরা পড়লে ভোটগ্রহণের চার ঘণ্টার মাথায় ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৫১টি ভোটকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার দেড়ঘণ্টা আগে এ নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন বন্ধ ঘোষণার পর রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনার মুখে পড়ে বর্তমান কমিশন। এরপর এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই তদন্ত কমিটি করে আউয়াল কমিশন।
গত জুলাইয়ে সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার মৃত্যুতে এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে অনিয়ম ও দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ মেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের পাঁচ উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও ভোট গ্রহণ কর্মকর্তকাসহ ১৩৪ জনের বিরুদ্ধে বরখাস্তসহ বিভিন্ন মেয়াদের শাস্তির সিদ্ধান্ত দেয় ইসি।