বাংলাদেশী অভিবাসীদের নির্যাতন এবং মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
কমিশন বলছে, বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিবাসন খাতকে আরো উন্নত এবং নিরাপদ করার উদ্দেশে এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনে প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগকে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ জানুয়ারি গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রবাসে কিছু বাংলাদেশি অভিবাসীকে নির্যাতন এবং মুক্তিপণ আদায় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে।
প্রতিবেদনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ বিশেষ করে ইতালি পাঠানোর কথা বলে লিবিয়ায় প্রেরণ এবং সেখানকার এক বা একাধিক চক্র কর্তৃক বন্দিদের নির্যাতন, মুক্তিপণ আদায় ও হত্যার বিষয়টি উঠে এসেছে। প্রকাশিত বিস্তারিত সংবাদ থেকে জানা যায়, চক্রগুলো ভুক্তভোগীদের নির্যাতন করে সে নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে। পরে নির্যাতনের ভিডিও দেশে পাঠিয়ে ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
মানবাধিকার কমিশন মনে করে, মানবপাচারের শিকার ব্যক্তিরা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনের শিকার হন। তাদের ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে বিভিন্ন মুক্তিপণ আদায় করা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, অভিবাসন দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক খাত। মানবপাচারের শিকার হয়ে কিছু অভিবাসীরা খুনও হচ্ছেন। যা কোনো ক্রমেই প্রত্যাশিত বা গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরণের কার্যক্রমের সাথে দেশের এক বা একাধিক চক্র জড়িত। তারা শুধুমাত্র অবৈধভাবে আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছে না, একই সাথে কিছু মানুষকে তারা অমানবিক নির্যাতন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনায় নিয়ে অত্যন্ত সতর্ক ও যথাযথভাবে এ সমস্যা মোকাবেলার উদ্দেশে সত্য ঘটনা উন্মোচন করা প্রয়োজন।