দশ দিন হলো হাসপাতালের বিছানায় অচেতন অভিনেত্রী রিশতা লাবনী সীমানা। জ্ঞান ফেরেনি তার। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখেও শারীরিক অবস্থার হচ্ছে না উন্নতি। এরইমধ্যে তাকে স্থানান্তর করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)।
গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সীমানাকে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে অভিনেত্রীকে। এরইমধ্যে জটিল আকার ধারণ করেছে কিডনি সমস্যা। সমস্যা আরও বাড়ছে বলে জানান সীমানার ভাই এজাজ। তিনি বলেন, ‘গতকাল এখানে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এখন নিশ্বাসেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। অবস্থা ভালো নয়, আল্লাহর ওপর ভরসা রাখতে বলেছেন।’
এ সময় সীমানার বাবা বলেন, ‘আমরা ভালো নেই। আমার মেয়ে ভালো নেই। অর্থনৈতিকভাবে প্রচুর টাকা আমাদের খরচ করতে হচ্ছে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’
এর আগে সীমানা চিকিৎসাধীন ছিলেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে। সেখান থেকে পিজিতে আনার কারণ ব্যাখ্যা করে সীমানার ভাই এজাজ বলেন, ‘মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে শনিবার সার্জারি করা হয়। তার পর থেকেই আপু হাসপাতালের আইসিইউতে রয়েছে। কিন্তু এখনো জ্ঞান ফেরেনি। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁদের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তাঁদের আর করার কিছু নেই।’
স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন সীমানা। এরপরই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সামাজিক মাধ্যমে খবরটি জানিয়েছিলেন সীমানার প্রাক্তন স্বামী কণ্ঠশিল্পী পারভেজ সাজ্জাদ। তিনি লিখেছিলেন, ‘হে পরম করুণাময়, আপনি সর্বশক্তিমান, আপনি সব পারেন। আমার সন্তানকে এত বড় কঠিন পরীক্ষার মধ্যে ফেলবেন না। শ্রেষ্ঠর মায়ের (সীমানা) অপারেশন চলছে। ম্যাসিভ স্ট্রোক করেছে ৬ দিন আগে।’
সীমানা লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতার ২০০৬ আসরের সেরা দশের একজন। ২০১৪ সালে বিয়ের পর মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। পারভেজ ও সীমানার ঘরে একটি ছেলে আছে।
অসংখ্য নাটক ও বিজ্ঞাপনে অভিনয় করেছেন সীমানা। তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’-এর মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় তার। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বিয়ের পর আবারও কাজে ফেরেন এই অভিনেত্রী। গত বছর বিপ্লব হায়দারের পরিচালনায় ‘রোশনী’ নামের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।