দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ২২৮ জন। এটি দেশে একদিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এদিকে, একই সময়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ২৯১ জনের শরীরে। গত চার দিন নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ায় সংক্রমণ ছিল ৮ হাজারের নিচে। নমুনা পরীক্ষা বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ ফের ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ ছাড়িয়ে গেলে ১১ লাখ ৬৪ হাজার।
রোববার (২৫ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তির তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আগের দিনের মতোই ৬৩৯টি ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন ২০ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষা হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩৭ হাজার ৫৮৭টি। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ৭৪ লাখ ৫৫ হাজার ২৮১টি।
এসব নমুনা পরীক্ষা করে আগের দিন ৬ হাজার ৭৮০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় এই সংখ্যাও নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে বেড়ে গেছে। এই সময়ে সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ২৯১ জনের শরীরে। এ নিয়ে দেশে মোট ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হলো। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ০৪ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৫৮৪ জন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হলেন মোট ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৩ জন। সংক্রমণ বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২২৮ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন। এর আগে গত ১৯ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২৩১ জন এবং ১১ জুলাই একদিনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩০ জন করোনা সংক্রমণ নিয়ে মারা গিয়েছিলেন। এরপর গত ২৪ ঘণ্টাতেই করোনায় তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর সাক্ষী হলো বাংলাদেশ।
এ নিয়ে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মোট মৃত্যু দাঁড়াল ১৯ হাজার ২৭৪ জনে। এখন পর্যন্ত সংক্রমণের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ১২৫ জন, নারী ১০৩ জন। তাদের মধ্যে বাসায় ১৪ জন ও বাকি ২১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত ২২৮ জনের মধ্যে ষাটোর্ধ্ব ১১১ জন। এর মধ্যে ৬১ থেকে ৭০ বছর বয়সী ৭০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছর বয়সী ৩৩ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সী ছয় জন ও ৯১ থেকে ১০০ বছর বয়সী দু’জন। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৫০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৩৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী আট জন ও ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দু’জন মারা গেছেন গত ২৪ ঘণ্টায়। এছাড়া ১০ বছরের কম বয়সী এক জনের মৃত্যু হয়েছে একই সময়ে।
এদিকে, একই সময়ে মৃতদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৯ জন ঢাকা বিভাগের, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ জন খুলনা বিভাগের, তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪০ জন চট্টগ্রাম বিভাগের। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে ২১ জন, রংপুর বিভাগে ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন, সিলেট বিভাগে ১১ জন ও বরিশাল বিভাগে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।