করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধারা রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের মাধ্যমে অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি)। অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে এপ্রিলে প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক ২০২১’ শিরোনামে সংস্থাটির শীর্ষ প্রতিবেদনের হালনাগাদ নিয়ে মঙ্গলবার প্রকাশিত সম্পূরক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে চলতি বছর বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার নিয়ে কিছু উল্লেখ না থাকলেও দক্ষিণ এশিয়াসহ পুরো উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধির হার আগের পূর্বাভাসের চেয়ে সামান্য কমিয়ে ধরা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসের তথ্য তুলে ধরা বলা সম্পূরক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি আয়ে ১৩.৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক মুদ্রার আয়ে ৩৯.৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে।
গত বছরের এপ্রিল শেষে এক বছরের ব্যবধানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আদায় করা রাজস্ব আয়ে ১২.৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধির কথাও তুলে ধরেছে এডিবি। তবে এপ্রিলের শুরুতে করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে দেশজুড়ে আরোপ করা বিধিনিষেধের কারণে ‘ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড যে বিঘ্নিত হয়েছে’ তাও এডিবির সম্পূরক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থাটি বলছে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির গতি শ্লথ হওয়ায় এপ্রিল পযন্ত গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে বাংলাদেশে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৫.৬ শতাংশে, যা পুরো বছরের পূর্বাভাস ৫.৮ শতাংশের কিছুটা কম। সম্পূরক প্রতিবেদনে এডিবি বলেছে, সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ের কারণে ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবৃদ্ধি আগের পূর্বাভাসের চেয়ে কিছুটা কমে ৮.৯ শতাংশ হতে পারে, যা কিছুটা কমে পরের বছর ৭ শতাংশ হতে পারে।
ভারতের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এপ্রিলের ১১ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে সম্পূরক প্রতিবেদনে, যেখানে ২০২২ সালে প্রবৃদ্ধি ৭.৫ হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। কয়েকটি দেশে নতুন করে ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় ২০২১ সালে পুরো উন্নয়নশীল এশিয়ার প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ সংশোধন করে এপ্রিলের ৭.৩ শতাংশ থেকে জুলাইয়ে ৭.২ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। তবে ২০২২ সালের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ ৫.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫.৪ শতাংশ ধরা হয়েছে।।