করোনার মারাত্মক ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে সুরক্ষা দিতে পারে ফাইজার বা অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের গবেষকদের নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর রয়টার্সের।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফাইজার বা অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দুই ডোজ করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে যতটা কার্যকর ছিল, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও প্রায় সমান কার্যকর।
গবেষণায় দেখা গেছে, ডেল্টা ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে এই টিকাগুলো বেশ কার্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের যত ধরন পাওয়া গেছে তার মধ্যে ভেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ও মারাত্মক। বর্তমানে বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে করোনার এই ধরন ছড়িয়ে পড়েছে এবং সারা বিশ্বে এই ভ্যারিয়েন্টটিই সবচেয়ে বেশি সংক্রমিত করছে। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের আগে করোনার আলফা ভ্যারিয়েন্ট সবচেয়ে সংক্রামক হিসেবে পরিচিত ছিল।
ফাইজার এবং অ্যাস্ট্রোজেনেকার টিকার কার্যকারিতা নিয়ে মে মাসের রিয়েল-ওয়ার্ল্ড ডেটার ভিত্তিতে এ গবেষণা করা হয়েছে। গবেষকেরা জানিয়েছেন, করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ফাইজারের টিকার এক ডোজ ৩৬ শতাংশ এবং দুই ডোজ ৮৮ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এই টিকার দুই ডোজ ৯৩ দশমিক ৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
অন্যদিকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার এক ডোজ ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৩০ শতাংশ এবং দুই ডোজ ৬৭ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে। আলফা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে এ টিকার দুই ডোজ ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুরক্ষা দিতে পারে।
গবেষণাপত্রে পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের গবেষকরা উল্লেখ করেছেন, করোনার টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর আলফা ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে টিকার কার্যকারিতার পার্থক্য খুব সামান্য।’