আমেরিকা ও ন্যাটো জোট রাশিয়ার সঙ্গে সামরিক ভারসাম্য নষ্ট করছে। যে কারণে তাদের প্রতিহত করতে মস্কো হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে অন্তত ৫ গুণ বেশি গতিসম্পন্ন) ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত ২০ জুলাই ক্রেমলিনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান। তিনি বলেন, সমরাস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক চুক্তিগুলো গত কয়েক দশকে ক্রমান্বয়ে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তিনি এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে অ্যান্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল ট্রিটি বা এবিএম চুক্তি থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করেন। ১৯৭২ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে ওই চুক্তি সই করেছিল ওয়াশিংটন। পেসকভ বলেন, আমেরিকা ও ন্যাটো জোট সুনির্দিষ্টভাবে এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে যার ফলে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের সামরিক ভারসাম্য নষ্ট হয়েছে। তারা রাশিয়ার সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছ। এসব ব্যবস্থা দিয়ে প্রয়োজনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো সম্ভব।
রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেন, পাশ্চাত্যের এসব পদক্ষেপের জবাব দিয়ে রাশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সামরিক ভারসাম্য রক্ষা করার জন্য যা কিছু করার প্রয়োজন ছিল মস্কো তা করেছে। গত ১৯ জুলাই রাশিয়া তার হাইপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ‘জিরকন’-এর সফল পরীক্ষা চালায়। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, এই ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করতে পারে এমন কোনো ব্যবস্থা পৃথিবীতে নেই।
শ্বেত সাগরে অবস্থিত রুশ যুদ্ধজাহাজ অ্যাডমিরাল গোর্শকভ থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয় এবং এটি ব্যারেন্টস সাগর উপকূলে ৩৫০ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, ক্ষেপণাস্ত্রটি শব্দের চেয়ে ৭ গুণে বেশি গতিতে উড়ে গিয়ে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে।