পবিত্র ঈদুল আজহার আর মাত্র একদিন বাকি। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে শেষ সময়ে রাজধানী ঢাকা ছেড়ে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে বাড়ি যাচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ। সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে শিমুলিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রতিটি লঞ্চে গাদাগাদি করে নদী পাড়ি দিচ্ছেন যাত্রীরা।
সকাল ১০টার দিকে লঞ্চঘাটের সড়কে যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। গ্যাংওয়ে ও ঘাটের পন্টুনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন একেকজন। ঘাটে লঞ্চ আসামাত্র যাত্রীরা লঞ্চে উঠতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘাটে থাকলেও মানুষের ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা তাদের পক্ষে বেশ কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
শিমুলিয়া লঞ্চঘাট সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন ধরে ঘাট দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় অধিকাংশ যাত্রী লঞ্চে করেই পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। ফলে ঘাটে যাত্রীর চাপ লেগে আছে। কয়েক দিনের তুলনায় আজ চাপ আরও বেড়েছে। শত চেষ্টা করেও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মানানো যাচ্ছে না।
ইমরুল কাজী নামে এক যাত্রী জানান, তিনি নরসিংদীর একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করতেন। ঈদের ছুটি হয়েছে। তাই গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের বোয়ালমারী যাচ্ছেন। সড়কের অবস্থা ভালো থাকলেও, ঘাটে এসে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ দেখছি। যাত্রীর চাপে স্বাস্থ্যবিধি উধাও হয়ে গেছে।
রেহানা বেগম নামে আরও এক যাত্রী বলেন, লঞ্চঘাটে প্রচণ্ড ভিড়। ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব হচ্ছে না। গরমে কষ্ট করতে হচ্ছে। তারপরও ঈদে বাড়ি যাচ্ছি। এটা ভেবেই খুব ভালো লাগছে।
মাহবুবুর রহমান নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, ঈদ করতে নড়াইলে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছি। কিন্তু কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। এতে করোনার সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সরকারের উচিত শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে আরও কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার মো. শাহ আলম বলেন, ৮৪টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। আর মাত্র একদিন পর ঈদ। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে বলা হচ্ছে।