সরকার ঘোষিত ’কঠোর লকডাউনে’র শেষে আসন্ন ঈদুল আজহা বিবেচনায় শিথিল করা হয়েছে বিধি নিষেধ। টানা লকডাউনের এই ১৪ দিনে মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল রোধে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রথম দিন থেকেই মাঠে ছিল র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময়ে দেশজুড়ে ৩ হাজার ২৭৩ জনকে সর্বমোট ২৮ লাখ ১ হাজার ৮৭৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
র্যাব সদর দপ্তর জানায়, ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ‘কঠোর লকডাউনে’ মানুষের অপ্রয়োজনীয় চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট। প্রথম দিন থেকে ১৪ জুলাই পর্যন্ত দেশজুড়ে ৪৬২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এর মাধ্যমে আইন অমান্যকারী ৩ হাজার ২৭৩ জনকে সর্বমোট ২৮ লাখ ১ হাজার ৮৭৫ টাকা জরিমানা করা হয়।
এই সময়ে র্যাব ২ হাজার ৬৩৯টি চেকপোস্ট ও ২ হাজার ৫৮২টি টহল পরিচালনা করে। এছাড়া, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মানুষকে সচেতনতার পাশাপাশি বিনামূল্যে ৩৬ হাজার ২৬০টি মাস্ক বিতরণ করা হয়। এদিকে লকডাউনে কর্মহীন, অস্বচ্ছল ও ছিন্নমূল মানুষের পাশেও দাড়িয়েছে র্যাব। এই দুই সপ্তাহে ১ হাজার ৯৯টি অস্বচ্ছল পরিবারকে বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হয়।
র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকারি বিধি নিষেধের প্রতিদিনই সারা দেশব্যাপী মাঠে ছিল র্যাব। র্যাবের নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের পাশাপাশি মোতায়েন ছিল অতিরিক্ত টহল ও চেকপোস্ট।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধি নিষেধ বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বাড়াতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন। এছাড়াও র্যাব জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। এছাড়া বিনা প্রয়োজনে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে র্যাবের জনসচেতনামূলক মাইকিং, লিফলেট বিতরণ ও বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি চলমান ছিল। এই সময়ে অসহায় ও দুস্থ পরিবারকে খাদ্য সহায়তাও দিয়েছে র্যাব।