আগামী ১৯ জুলাই এর মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাসসহ সকল পাওনা পরিশোধে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। ঈদে সরকারি ছুটির সঙ্গে মিলিয়ে পোশাকসহ সব শিল্পের শ্রমিকদের বদলি ছুটি পাওনা থাকলে সে বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন মালিক ও শ্রমিকপক্ষ।
মঙ্গলবার ( ১৩ জুলাই) রাজধানীর বিজয়নগরে শ্রম ভবনের সম্মেলনকক্ষে আরএমজি বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ-টিসিসি’র সভায় সভাপতির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণটিকার আওতায় ৩৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের শ্রমিকদের টিকা গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই ৩৫ বছরের কম বয়স্ক শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করোনা টিকার ব্যবস্থা করা হবে। সভায় উপস্থিত মালিক প্রতিনিধিগণ জানিয়েছেন প্রায় শতভাগ কারখানার শ্রমিকদের গত জুন মাসের বেতন পরিশোধ হয়েছে।
বেগম মন্নুজান সুফিয়ান মনে করেন, সরকার ঈদে মানুষের যাতায়াত, কোরবানি কেনাবেচা নির্বিঘ্ন করতে আগামী ১৫ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। এই সুযোগে কেউ যেন গাদাগাদি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল না করে সেই বিষয়টিও খেয়াল করতে শ্রমিকদের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে আপনি যেমন নিরাপদে থাকবেন, আপনার পরিবার পরিজন নিরাপদ থাকবে, দেশ নিরাপদে থাকবে।
সংসদ সদস্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান বলেন, ছুটির বিষয়ে বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। মালিকগণ বেতন বোনাস দিয়ে দিবেন বলে আশা করছি। সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, বাংলাদেশ এমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, বিকেএমইএ এর সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি নুর কুতুব আলম মান্নান, ইন্ডাষ্ট্রিঅল বাংলাদেশ কাউন্সিল এর সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন।