ইরাকের একটি করোনা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৬৭ জন।
দেশটির একটি হাসপাতালের করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আলজাজিরা।
বিবিসি জানিয়েছে, সোমবার রাতে ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ার একটি হাসপাতালের করোনা ইউনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ব্যাপক প্রচেষ্টার পর গভীর রাতেই সেই আগুন নিয়ন্তণে আনা হয়।
অগ্নিকাণ্ডের কারণ এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া খবরে ধারণা করা হচ্ছে যে, হাসপাতালের অক্সিজেন ট্যাংক বিস্ফোরণের পর করোনা ইউনিটে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনাস্থলে থাকা রিপোর্টাররা বলছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণের পর হাসপাতালের ভেতর থেকে দগ্ধ মরদেহ বের করে আনা হয়। জীবিতদের উদ্ধারে সেখানে এখনও তল্লাশি করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
ইরাকের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা হায়দার আল-জামিলি বার্তাসংস্থা এএফপি’কে জানিয়েছেন, করোনা ইউনিটের ভেতরে এখনও অনেক রোগী আটকা পড়ে থাকতে পারেন বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দুর্ঘটনাকবলিত ওই ওয়ার্ডটিতে ৬০ জন করোনা রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার মতো সুযোগ-সুবিধা ছিল।
এদিকে করোনা ইউনিটে আগুন ছড়িয়ে পড়ার পর হাসপাতালের সামনে ভিড় করেন আটকে পড়া রোগীদের স্বজনরা। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন প্লাটফর্মে এ ঘটনায় তুমুল সমালোনার সৃষ্টি হয়েছে এবং অভিযুক্তদের পদত্যাগের দাবি করেছেন অনেকে।
হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর দায়ীদের তীব্র সমালোচনা করেছেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার মোহাম্মদ আল-হাবলৌসি। টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা এটাই প্রমাণ করে যে, ইরাকিদের জীবন রক্ষায় দায়িত্বশীলরা ব্যর্থ। এ ধরনের বিপর্যয়কর ব্যর্থতার অবসান করার এটাই উপযুক্ত সময়।
এর আগে গত এপ্রিল মাসের শেষের দিকে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের একটি হাসপাতালে আগুন লেগে ৮২ জন রোগী নিহত হয়েছিলেন। ওই অগ্নিকাণ্ডে আহত হয়েছিলেন কমপক্ষে আরও ১১০ জন। হাসপাতালটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
ইরাকের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি ছাড়াও অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, অক্সিজেন ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে হাসপাতালে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছিল।