তাকে মনে করা হয় ডিয়েগো ম্যারাডোনার যোগ্য উত্তরসূরী। ম্যারাডোনাও লিওনেল মেসিকে ভীষণ স্নেহ করতেন। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তির কোচিংয়ে খেলেছেনও খুদে জাদুকর।
কিন্তু দুঃখ একটাই। মেসির হাতে একটি আন্তর্জাতিক শিরোপা দেখে যেতে পারলেন না ম্যারাডোনা। ছিয়াশির বিশ্বকাপজয়ী তারকা বেঁচে থাকলে কতই না খুশি হতেন! ২৮ বছর পর তারই উত্তরসূরী মেসির হাত ধরে আন্তর্জাতিক ট্রফি হাতে তুলেছে আলবিসেলেস্তেরা।
রোববার মারাকানায় ব্রাজিলের রাজত্ব চূর্ণ করে কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। যে শিরোপাটি পূর্বসূরী ম্যারাডোনাকেই আলাদাভাবে উৎসর্গ করলেন মেসি।
আর্জেন্টিনার শিরোপা খরা কাটলো মেসির হাত ধরেই। এমন একটি দলকে নেতৃত্ব দিতে পেরেও নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অরজয়ী তারকা।
মেসি ইনস্টাগ্রামে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে লিখেছেন, ‘মারাকানা এবং ব্রাজিলের বিপক্ষে ক্লাসিক লড়াই…এটা অবিশ্বাস্য একটা কাপ ছিল। আমরা জানি আমাদের আরও অনেক কিছুতে উন্নতি করতে হবে। তবে সত্যটা হলো, ছেলেরা তাদের হৃদয় দিয়ে খেলেছে। এমন দুর্দান্ত একটি দলের অধিনায়ক হওয়ার সৌভাগ্যে আমি গর্ববোধ করছি।’
২০১০ বিশ্বকাপে ম্যারাডোনার কোচিংয়েই খেলেছিলেন মেসি। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকা গত বছর হঠাৎ পারি জমান না ফেরার দেশে। তার কথা আলাদা করেই স্মরণ করলেন মেসি।
আর্জেন্টাইন খুদেরাজ লিখেছেন, ‘আমি এই সাফল্য আমার পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই, যারা আমাকে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিয়েছে। উৎসর্গ করতে চাই আমার ভালোবাসার বন্ধুদের, যারা আমাদের সমর্থন করেছেন বিশেষ করে ৪৫ মিলিয়ন আর্জেন্টাইনকে, যারা এই ভাইরাসের কঠিন সময় অতিবাহিত করছেন।’
‘আলাদা করে তাদের, যারা সামনে থেকে কাজ করছেন। এটা আপনাদের সবার জন্য। এবং অবশ্যই ডিয়েগোর (ম্যারাডোনা) জন্যও, যিনি কিনা যেখানেই আছেন, সেখান থেকে অবশ্যই আমাদের সমর্থন দিয়েছেন।’
সবশেষে মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেসি লিখেছেন, ‘সৃষ্টিকর্তা আমাকে যা কিছু দিয়েছেন, তার জন্য ধন্যবাদ। এবং ধন্যবাদ আমাকে একজন আর্জেন্টাইন বানানোর জন্য।’