দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সর্বোচ্চ পুরস্কার হচ্ছে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার। খুব স্বল্প সংখ্যক ক্রীড়াবিদ, সংগঠকদের ভাগ্যেই জোটে এটি। ক্রীড়াঙ্গনের অনেকে যেন স্বীকৃতি পায় এজন্য আশির দশকে শুরু হয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। এটি মূলত দ্বিতীয় স্তরের পুরস্কার ক্রীড়াঙ্গনের ক্ষেত্রে। ১৯৯১ সালের পর এই পুরস্কার প্রদান বন্ধ হয়েছে।
বর্তমান মন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার পুনরায় চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে এর নামকরণ করেছেন শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার। আজ ১২ জুলাই এই পুরস্কারের জন্য আবেদনের শেষ দিন। অনলাইন ও সরাসরি দরখাস্তের মাধ্যমে এই পুরস্কারের জন্য আবেদন গ্রহণ করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনলাইনে ৬৯ টি ও সরাসরি আবেদন জমা পড়েছে বিশটির মতো। আজ রাত ১২ টা পর্যন্ত সময়সীমা রয়েছে আবেদনের।
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে আজীবন সম্মাননায় দুইটি, খেলোয়াড় ৪৩টি, ক্রীড়া সংগঠক ১৫, উদীয়মান ক্রীড়াবিদ ৭, ফেডারেশন ৬টি, ক্রীড়া সাংবাদিক তিনটি, ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষক ক্যাটাগরিতে পাঁচটি আবেদন জমা পড়েছে।
আবেদনের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দিনই আগামীকাল মঙ্গলবার পুরস্কারের জন্য গঠিত যাচাই বাছাই কমিটির সভা হবে। সেই সভা শেষে আগামীকালই একটি প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করে চূড়ান্তকরণ কমিটির কাছে পাঠানোর চেষ্টা করছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। এই সংস্থার সচিব মাসুদ করিম বলেন, ‘৫ আগস্ট শহীদ শেখ কামালের জন্মদিনে আমরা এই পুরস্কার প্রদান করতে চাই। সামনে ঈদের ছুটি থাকবে। এজন্য আগেভাগেই কাজ এগিয়ে রাখতে কালই দু’টি সভা হবে।’
খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে। এই ক্যাটাগরিতে তিন জন ক্রীড়াবিদ পুরস্কৃত হবেন। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, দুই বার অলিম্পিক খেলা জাতীয় পর্যায়ের সেরা সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর, জাতীয় বক্সার সুরকৃষ্ণ চাকমাসহ অনেক ডিসিপ্লিনের অনেক অর্জন সম্পন্ন ক্রীড়াবিদ আবেদন করেছেন। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে এবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আবেদন চেয়েছে।
অনেক ক্রীড়াসংশ্লিষ্ট পুরস্কারের বিষয়টি এখনো জানে না আবার অনেকে জানলেও আবেদন করে পুরস্কার নিতে আগ্রহী নন। এই প্রসঙ্গে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম বলেন,‘ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওয়েবসাইট, বিভিন্ন ফেডারেশনে এই বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।’
এই পুরস্কারের ক্রেস্টের জন্য ১০ জুলাই ছিল দরপত্র দেয়ার শেষ সময়সীমা। দরপত্র কয়েকটি জমা পড়েছে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ শিগগিরই এটি চূড়ান্ত করবে। এত স্বল্প সময়ের মধ্যে ক্রেস্ট চূড়ান্ত, পুরস্কার যাচাই-বাছাই ও মনোনয়নসহ আনুষাঙ্গিক অনেক কাজ সুষ্ঠ ও সঠিকভাবে সম্পন্ন হয় কি না সেটার উত্তর সময় দেবে।