নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানা থেকে ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উদ্ধারকর্মীরা। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ৫২ জনে দাঁড়াল।
আজ শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক (অপারেশন) দেবাশীষ বর্ধন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনো কারখানার দুটি ফ্লোরে উদ্ধার চালানো বাকি আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামীম ব্যাপারীকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বলেন, কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সকাল থেকেই কারখানার সামনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে জড়ো হয়ে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ শ্রমিকদের স্বজনরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, এক পর্যায়ে এই বিক্ষোভে এলাকাবাসীর পাশাপাশি বহিরাগত কিছু ব্যক্তি যোগ দেন। তারা দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়ে শটগান কেড়ে নেন। কারখানার ভেতরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালান। পুলিশের দিকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। পরে তারা আবারও জড়ো হয়ে মহাসড়কে অবস্থান নেন।
স্বজনের ভাষ্য, নিখোঁজ শ্রমিকদের বেশির ভাগ কারখানা ভবনের চতুর্থ তলায় আটকে ছিলেন। কারখানার সামনে অবস্থানরত রিপন নামে এক ‘নিখোঁজ’ শ্রমিকের মা নাজমা বেগম বলেন, দুপুরে বাসা থেকে ভাত খেয়ে কারখানায় এসেছিল রিপন। কিন্তু আগুন লাগার পর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
নাজমা জানিয়েছেন, রিপনও ভবনের চতুর্থ তলাতেই কাজ করতেন।