নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডসের ফ্যাক্টরির আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল পৌনে ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট কাজ করছে।
সর্বশষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২০ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। নিখোঁজদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল ৫টা ৪২ মিনিটে উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই ফ্যাক্টরিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে তিন শ্রমিক নিহত এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল আল আরিফিন জানান, ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল, সকালে আবারো ভবনের ৪-৫ তলায় বেড়ে যায় আগুন। আমরা কাজ করছি। তিনজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে, ভেতরে অনেকেই আটকা ছিলেন যাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তারা বের হতে পেরেছেন কি না বা তাদের ভাগ্যে কি ঘটেছে এখনি বলা যাচ্ছে না। হতাহতের সংখ্যা আরো অনেক বাড়তে পারে।
নিহতরা হলেন- সিলেট জেলার জ্যোতি সরকারের স্ত্রী স্বপ্না রানী (৪৫), দিনাজপুরের চিনিরবন্দর উপজেলার আনিসুর রহমানের ছেলে মোরসালিন (২৮) ও উপজেলার গোলাকান্দাইল নতুন বাজার এলাকার হারুন মিয়ার স্ত্রী মিনা আক্তার (৩৩)। আহতদের স্থানীয় ও ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সজীব গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস লিমিটেডের সপ্তম তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্লোরে হঠাৎ করে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। কালো ধোঁয়ায় গোটা কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। এ সময় ঘটনাস্থলেই স্বপ্না রানী ও মিনা আক্তার নামে দুই নারী শ্রমিক নিহত হন। পরে রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মোরসালিন (২৮) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়।