স্থানীয় গণমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারীরা কালো পোশাক পরা ছিল। সঙ্গে ছিল ভারী অস্ত্রশস্ত্র। যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী অভিযানে এমনটা দেখা যায় বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়। তবে হাইতিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এমন দাবি নাকচ করে দিয়েছেন। তার ধারণা, পেশাদার ভাড়াটে খুনিরাই এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পর অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে হাইতিজুড়ে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সীমানা। ঘোষণা করা হয়েছে দুই সপ্তাহের রাষ্ট্রীয় শোক। একই সঙ্গে জারি করা হয়েছে মার্শাল ল’। তবে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ। পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে দাবি করে হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার নিশ্চিতের কথাও জানান তিনি। গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এ বছরের শেষনাগাদ নির্বাচন অনুষ্ঠান আয়োজনের অঙ্গীকার করেন জোসেফ।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লদে জোসেফ বলেছেন, হত্যাকারীদের ধরতে পুলিশ ও সেনাবাহিনী অভিযান শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা নিবিড়ভাবে কাজ করছি। মার্কিন দূতাবাস থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত না। তবে তিনি কত দিন অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কেননা চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এরিয়েল হ্যানরির নাম ঘোষণা করেন নিহত প্রেসিডেন্ট মোইসি। যার এখনো শপথ নেওয়া বাকি।
২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ক্ষমতা নেয়া জোভেনেল মোইসির বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগে সহিংস বিক্ষোভ করে আসছে সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া গ্যাং সহিংসতা, কিডনাপসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম সম্প্রতি আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। দরিদ্র এই দেশটিতে ২০১৯ সালে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও আদেশ জারি করে ক্ষমতায় ছিলেন মোইসি।
হাইতির প্রেসিডেন্টকে হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। একইসঙ্গে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সংকট মোকাবিলার আহ্বান জানানো হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনগণের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেছেন। নিন্দা জানিয়ে পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।