মঞ্চটা প্রস্তুত। অনেক আগে থেকেই। এই ওয়েম্বলিতে ৬০ হাজার দর্শকের সামনে স্বাগতিক হয়ে খেলবে ইংল্যান্ড, এমন স্বপ্ন খোদ ইংলিশরাও দেখেছিলো কিনা কে জানে! শুধু জানতো, ওয়েম্বলিতে হবে ইউরোর সেমিফাইনাল, হবে ফাইনালটাও। সবকিছু কি সুন্দর মিলে গেল! সেমিতে এখানে হাজির ইংল্যান্ড, ফাইনালেও ম্যানচেস্টারের এই মাঠে ট্রফিটা জিততে নামবেন হ্যারি কেইনরা।
হ্যাঁ, ট্রফির লড়াইয়েই নামবেন। শেষ কবে আরেকটা ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ড? স্মৃতি হাতড়ে যেতে হবে বহুদূরে! ১৯৬৬ সালে, বিশ্বকাপের ফাইনাল। তারপর কতোজন এলো-গেল, টেমস নদীতে কতো জল গড়ালো! ইংলিশদের আর কোন টুর্নামেন্টের ফাইনালে ওঠা হলো না! ৫৫ বছর পর অবশেষে হ্যারিকেইন-রাহিম স্টার্লিংদের হাত ধরে আরো একবার ট্রফির মঞ্চে হাজির ইংল্যান্ড। ডেনমার্কের সামনে দূরত্বটা ইংল্যান্ডের তুলনায় কম, তবে একেবারে কমও নয়। ২৮ বছর পর আরো একবার ফাইনালিস্ট হিসেবে নাম লেখানোর সুযোগ ছিল ব্র্যাথওয়েট-স্মাইখেলদের সামনে। জানপ্রাণ দিয়ে লড়েছেও ওরা। তবে শেষপর্যন্ত আর হলো কই!
শুরুটা হয়েছিলো ড্যানিশদের হাত ধরেই। ৩০ মিনিটে দুর্দান্ত এক ফ্রি কিকে দলকে লিড এনে দেন ডামসগার্ড। এবারের ইউরোর প্রথম ফ্রি কিক গোলটা এলো এই ২১ বছর বয়সীর পা থেকে। ৮ মিনিট লিডটা ধরে রাখতে পারে ডেনমার্ক। ম্যাচের সমতা ফেরানোর দায়টা আদতে তাদেরই। ইংলিশদের আক্রমন ঠেকাতে গিয়ে উল্টো নিজেদের জালে বল জড়িয়ে দেন ড্যানিশ ক্যাপ্টেন কায়ের!