ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের ইরবিল শহরের বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। বুধবার ভোরে ওই বিমানবন্দরে অন্তত ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। সেখানে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করেই এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইরাকের সাবেরিন নিউজ এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রের পাশাপাশি বিস্ফোরক বোঝাই ড্রোন দিয়েও ওই বিমানবন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার পরপরই বিমানবন্দরের সব কার্যক্রম স্থগিত করে এর সব বাতি নিভিয়ে ফেলা হয়। তবে এসব হামলায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে সোমবার ইরানের আনবার প্রদেশে অবস্থিত মার্কিন সেনা ঘাঁটি আইন আল-আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। একই সময়ে বাগদাদের কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত গ্রিন জোনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে ড্রোন হামলার চেষ্টা হয়েছে বলে একাধিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। সেসময় দূতাবাস ভবনের নিরাপত্তা রক্ষায় স্থাপিত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে অন্তত চারবার ড্রোনগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়।
মঙ্গলবার ভোররাতে একাধিক ড্রোন মার্কিন দূতাবাসের আকাশে চক্কর দিতে থাকলে সেখানকার সাইরেনগুলো বেজে ওঠে এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে সেগুলোকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এ সময় গ্রিন জোনের নিকটবর্তী আল-কাররাদা, আল-জাদরিয়া ও আল-কাদিসিয়া এলাকা থেকে গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।
কোনো কোনো সূত্র বলছে, গুলিবর্ষণ করলেও ড্রোনগুলোকে ভূপাতিত করা যায়নি। এই সূত্রগুলো বলছে, ঘটনার সময় মার্কিন দূতাবাসের আকাশে কোনো বিস্ফোরণের দৃশ্য দেখা যায়নি। তবে অন্য কযেকটি সূত্র দাবি করেছে, অন্তত একটি ড্রোন ভূপাতিত হয়েছে।
কে বা কারা এসব হামলা চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তবে ইরাকের জনগণ তাদের দেশে মার্কিন সেনা উপস্থিতি মেনে নিতে রাজি নয়। দেশটির পার্লামেন্ট ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে একটি আইন পাস করে ইরাক থেকে সব মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।