আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে আগেই জানতে পেরেছিলেন ভূমিষ্ঠ হতে যাওয়া সন্তান স্বাভাবিক নয়। তারপরও মেনে নিয়েছিলেন জলিল-শারমিন দম্পতি। তবে শেষ পর্যন্ত আর বাঁচানো গেল না দুই মাথা তিন পাওয়ালা নবজাতকটি। মঙ্গলবার (০৬ জুলাই) বরিশাল নগরীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই শিশুটি মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই নবজাতকের বাবা আ. জলিল। তিনি জানান, আল্লাহ যেমন সন্তান দিয়েছিল, বাঁচিয়ে রাখলে যত্ন সহকারে লালনপালন করতাম। কিন্তু আল্লাহ নিয়ে গেল। মঙ্গলবার রাতে বরিশাল নগরীর মুসলিম গোরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। বর্তমানে তার স্ত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার বকশির ঘটিচোরা গ্রামের আ. জলিলের স্ত্রী শারমিন (৩৫) গর্ভধারণের পাঁচ মাস পর পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হন, অনাগত সন্তানের দুটি মাথা ও দুটির অধিক পা রয়েছে। যদিও পিরোজপুরে একটি ক্লিনিকে ডাক্তার দেখালে সেখান থেকে জমজ সন্তানের কথা বলা হয়।
তবে গর্ভধারণের পূর্ণাঙ্গ সময়সীমা পার হলে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) গাইনি চিকিৎসক ডা. তানিয়া আফরোজের তত্ত্বাবধায়নে সিজার হলে দুই মাথা, তিন পা ও দুই হাত বিশিষ্ট নবজাতকের জন্ম হয়। প্রসবের পর নড়াচড়া না থাকলেও মল ত্যাগ করে শিশুটি। এরপর সেখানকার চিকিৎসকরা শিশুটিকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানান, হাসপাতালে মৃত শিশুই নিয়ে এসেছিল। এদিকে সিজারের পর কিছুটা রক্তের সংকট দেখা দিলেও বর্তমানে প্রসূতি মা সুস্থ রয়েছেন।