রাশিয়ার আবিষ্কৃত করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা চলতি জুলাই মাসেই বাংলাদেশ পাবে বলে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ফলে দেশে চলমান গণটিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন মন্ত্রী। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই কথা জানান।
টিকা পেতে বাংলাদেশ পুরোপুরি প্রস্তুত জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে সবরকম প্রস্তুতি আমাদের শেষ হয়েছে। আশা করছি এই মাসের মধ্যেই একটা খবর হয়ত আমরা পেতে পারি।’
রাশিয়া কখন এবং কী পরিমাণ টিকা পাঠাবে, বাংলাদেশ সে অপেক্ষায় রয়েছে জানিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, ‘রাশিয়ার সঙ্গে আমরা অনেক দিন কাজ করেছি। খুঁটিনাটি কিছু বিষয় ছিল, সেগুলো আমাদের ভ্যাকসিন কমিটি আলোচনা করে শেষ করেছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তারা কখন এবং কী পরিমাণ টিকা দেবে। তারা যখনই জানাবে, আমরা তখনই আমাদের প্রক্রিয়া শুরু করে দেব।’
এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার টিকা (স্পুটনিক-৫) বাংলাদেশে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়। সেদিন ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এই তথ্য জানিয়েছিলেন।
গত জানুয়ারির শেষের দিকে ব্রিটেনের তৈরি এবং ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় দেশে। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারাদেশে ওই টিকা দিয়ে শুরু হয় গণটিকাদান কার্যক্রম। কিন্তু ভারত চুক্তি অনুযায়ী সময় মতো বাংলাদেশকে টিকা না দেয়ায় এই কার্যক্রম বাধার মুখে পড়ে এবং ২৬ এপ্রিল থেকে প্রথম ডোজের টিকা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
সরকার নতুন করে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশ থেকে টিকা আনার ব্যাপারে চেষ্টা শুরু করে। ইতিমধ্যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের টিকা আসায় আবার শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। রাশিয়ার টিকা পেলে এই কর্মসূচি নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।