প্রায় কোটি টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা ও স্কুল শিক্ষিকা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক কুষ্টিয়া। রবিবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় কুষ্টিয়া সজেকা’র সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: আয়েশা খাতুনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার নামীয় সন্দিগ্ধ আসামীদ্বয় হলেন- রংপুর তারাগঞ্জ উপজেলার ইকরচালী গ্রামেরন বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার মিয়ার ছেলে সাবেক কুষ্টিয়া জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা বর্তমানে রংপুরে কর্মরত আশারাফুল আলম এবং তার স্ত্রী রংপুর সদর উপজেলার রাধাকৃষ্ণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছা: আয়শা খাতুন।
মামলার এজাহার সূত্রের বিবরণ দিয়ে দুদকের কৌশুলী এ্যাড. আল-মুজাহিদ মিঠু জানান, ১ম মামলায় আনীত অভিযোগে সাবেক জেলা হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা আশরাফুল আলম তার কর্মজীবনের ১৯৮৯ সাল হতে ২০১৯ সাল সময়কালের মধ্যে জ্ঞাত আয় বহির্ভুত প্রায় ৩৬ লক্ষ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। ২য় মামলায় আশরাফুল আলম ও তার স্ত্রী আয়শা খাতুন যৌথভাবে কর্মজীবনের ১৯৯৫ সাল হতে ২০১৯ সাল সময়কালের মধ্যে প্রায় ২১ লক্ষ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ আহরণ করেছেন বলে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধান ও তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। আসামীদ্বয়ের দখলে থাকা প্রায় দুই কোটি টাকার সম্পত্তির মধ্যে প্রায় অর্ধকোটি টাকার সম্পত্তি জ্ঞাত আয় বহির্ভুত। যা ২০০৪ সালের দুদক আইনের দ:বি: ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা এবং ২০১২ সালের মান্ডি লন্ডারিং প্রতিরেধ আইনের ৪(২ ও ৩) তৎসহ ১০৯ ধারায় অপরাধ সংগঠিত হয়েছে বলে প্রতীয়মান হওয়ায় আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন দুদক সমন্বিত জেলা কার্যলয়ের পক্ষ থেকে।