বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, গ্রাহক ও ব্যাংকারদের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা পরিপালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলো সেটা মেনে চলার কথা। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা রোধ করা সম্ভব। যাঁরা করোনায় মারা গেছেন, ব্যাংকগুলো তাঁদের পরিবারকে অনুদান দেবে।
জানা গেছে, গত মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৭৬ জন ব্যাংকার। আর মারা গেছেন ২ জন। করোনায় মারা যাওয়া ১৩৩ কর্মকর্তার মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোরই ৭৩ জন। করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছেন রাষ্ট্রমালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা। ব্যাংকটি করোনায় ২৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে হারিয়েছে। আর আক্রান্তও বেশি হয়েছেন ব্যাংকটির কর্মকর্তারা। গত মে পর্যন্ত ব্যাংকটির ২ হাজার ৭৯৫ কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। জনতা ব্যাংকের ১৫ কর্মকর্তা, অগ্রণী ও কৃষি ব্যাংকের ১০ জন করে কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবদুছ ছালাম আজাদ বলেন, ‘আমরা আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের খরচ বহন করছি। মারা গেলে অনুদান দেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত কারও পরিবার অনুদান পায়নি। কারণ, নথিপত্র জমা হয়নি। ইতিমধ্যে ১৬ জন কর্মকর্তা মারা গেছেন, আরও একজনের অবস্থা খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সেবা অব্যাহত রাখার।’
এরপরই আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছেন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা। ব্যাংকটির ২ হাজার ৪০৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন ও মারা গেছেন ৬ জন। এ ছাড়া ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬ জন ও ইউসিবিএলের ৫ কর্মকর্তা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। ন্যাশনাল ব্যাংকের ৭৮৫ ও ইউসিবিএলের ৬৮৪ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন।
আর বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শুধু এইচএসবিসি ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। আর আক্রান্তের দিক দিয়ে শীর্ষে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ৪৯৯ কর্মকর্তা। ব্যাংককর্মীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মারা যান সিটি ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মুজতবা শাহরিয়ার (৪০)। গত বছরের ২৬ এপ্রিল মুগদা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।