রাজশাহীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে যুবলীগের পাঁচজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দুই নেতার দলীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুন) বিকেলে মহানগর যুবলীগ সভাপতি রমজান আলী ও সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বাচ্চু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, পাঁচজন মহানগরীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা করেছিলেন। আর দুজনের বিরুদ্ধে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আছে। ফেসবুকে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচারের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টার অভিযোগে মহানগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন শাওন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এরশাদ শেখকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
অন্যদিকে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ততায় মহানগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (উত্তর) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ শেখ এবং ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মো. সাব্বিরকেও স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টায় মহানগর যুবলীগের সদস্য আমিনুল ইসলাম ও সাধন কুমার ঘোষের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সুপারিশের ভিত্তিতে যুবলীগের এই সাত নেতার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হলো। যে দুজনের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে, তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে সুপারিশ পাঠানো হবে। এর আগে গত ১৭ জুন রাতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ লিচুবাগান এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয় যে, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকি কুমার ঘোষের নেতৃত্বে মসজিদে হামলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
কিন্তু ফেসবুকভিত্তিক একটি চ্যানেলে যুবলীগের কয়েকজন নেতা মসজিদে হামলা হয়েছে দাবি করে বক্তব্য দিতে থাকেন। এতে পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তাৎক্ষণিক বিপুল পরিমাণ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এ ঘটনায় সদ্য বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা শাওনসহ ১৪ জনের নামোল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করে শনিবার (২৫ জুন) থানায় একটি মামলা হয়। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মনিরুল ইসলাম সুমন (৪০) ও মো. রেজা (৩৫) নামের দুইজনকে গ্রেফতার করেছে। এর পরদিন দলীয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।