করোনাভাইরাসের কারণে শ্রেণিকক্ষে সরাসরি ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়া যাচ্ছে না। এর বিকল্প হিসেবে শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট (হোমওয়ার্ক) দেওয়া হচ্ছে। এই অ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে, এমনটিই বলছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টরা। সোমবার (২৮ জুন) থেকে কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এ সময় সর্ব সাধারণের চলাফেরা নিয়ন্ত্রিত থাকবে। প্রশ্ন উঠেছে, এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের স্কুলে গিয়ে অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার কার্যক্রমের কী হবে?
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এবার লকডাউনে অ্যাসাইনমেন্ট বন্ধ হবে না। লকডাউন চলাকালীন অ্যাসাইনমেন্ট অনলাইনে প্রকাশ করা হবে। শিক্ষার্থীরা বাসায় বসে অ্যাসাইনমেন্টের কাজ করবে। পরে লকডাউনে উঠে গেলে সবগুলো একসঙ্গে প্রতিষ্ঠানে জমা দেবে।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের উপ-পরিচালক (মাধ্যমিক) মোহাম্মদ আজিজ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, এবার লকডাউনে অ্যাসাইনমেন্ট বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। ইতোমধ্যে আঞ্চলিক অফিসে মাউশির মহাপরিচালকের নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। তারপরও যদি অ্যাসাইনমেন্ট বন্ধ করতে হয় তা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জানা গেছে, ২৩ জুন দেশের সব আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে জানানো হয়, করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরাসরি শ্রেণি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে না পারায় মন্ত্রণালয় বিকল্প হিসেবে বিভিন্ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চলমান রেখেছে।
করোনার কারণে যেসব এলাকায় লকডাউন চলছে ওই সব এলাকার আঞ্চলিক উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্থানীয় প্রশাসন এবং প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিতরণ করা অ্যাসাইনমেন্ট জমার তারিখ পুনঃনির্ধারণ কয়া যাবে।
যেসব শিক্ষার্থী লকডাউনের কারণে সময়মতো অ্যাসাইনমেন্ট শুরু করতে পারবে না, তাদের পরে সুবিধাজনক সময়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কাছে অ্যাসাইনমেন্ট জমার সুযোগ দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে স্বাস্থ্যবিধিকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যাবে না।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদেরও অ্যাসাইনমেন্ট (হোমওয়ার্ক) দেওয়া শুরু হয়েছে। তবে তা ‘বাসার কাজ’ হিসেবে গণ্য হবে। প্রতি সপ্তাহে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ি গিয়ে ওয়ার্কশিট পৌঁছে দেবেন। সপ্তাহ শেষে তা মূল্যায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।