বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের ভক্ত গোটা দুনিয়ায়। এই নামে বক্স অফিস কাঁপিয়েছে অনেক সিনেমা। শাহরুখ নামটাই তার ভক্তদের কাছে অনেক ভালোবাসা বহন করে। কিন্তু আপনি কি জানেন ছোটবেলায় আর একটু হলেই ‘কিং খান’-এর নাম শাহরুখ রাখা হতো না!
একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে এই নায়কের নাম রাখা হয়েছিল ‘শাহরুখ’। ছোটপর্দায় অনুপম খেরের চ্যাট শোয়ে হাজির হয়ে এই অজানা তথ্য ফাঁস করেছিলেন শাহরুখ নিজেই। এমনকি সেই নাম কাগজপত্রে নথিভুক্ত করার বন্দোবস্ত পর্যন্ত হয়ে গেছিল। একেবারে শেষ মুহূর্তে রাখা হয়েছিল ‘শাহরুখ’!
ছোটবেলায় শাহরুখের নাম ঠিক করা হয়েছিল আবদুর রহমান। ওই নাম রেখেছিলেন শাহরুখের দিদা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোথাও নথিভুক্ত করা হয়নি ওই নাম। তারকার বাবা মীর তাজ মোহম্মদ তার সন্তানের নাম ‘শাহরুখ’ রাখবে বলেই ঠিক করেছিলেন এবং সেটাই রাখেন। ‘শাহরুখ’ নামের অর্থ যে রাজপুত্রের মতো মুখ সেকথাও জানিয়েছিলেন তিনি। এই ‘নাম’ প্রসঙ্গে মজা করে ‘বাদশাহ’ আরও বলেছিলেন তিনি ভীষণ খুশি দিদার দেওয়া নামটি যে তার ওপর বসেনি। অভিনেতার মজাদার যুক্তি, ‘বাজিগর’ সিনেমায় নায়কের নাম হিসেবে আবদুর রহমান হিসেবে সেটা মোটেই জুতসই বা শ্রুতিমধুর হতো না।
ওই শোয়ে আড্ডার ফাঁকে সঞ্চালক অনুপম মজা করেই শাহরুখকে জিজ্ঞেস করেন, ‘আবদুর রহমান’ নামের কোনও ব্যক্তিকে চেনেন কি না?
মুচকি হেসে শাহরুখ তখন জবাব দেন, ‘না, আমি এরকম নামের কাউকে চিনি না। তবে ছোটবেলায় আমার নামই আবদুর রহমান রাখা হয়েছিল! আর এই কান্ডটি করেছিলেন আমার দিদা।’ এখানেই না থেমে তিনি আরও যোগ করেন, তার দিদা নাকি তাকে অনুরোধ-অনুনয়ও করতেন যে ওই নামটি ব্যবহার করতে।
শাহরুখের কথায়, ‘আমার মোটেই পছন্দ ছিল না ওই নাম। শুনতেই কেমন অদ্ভুত লাগত। ততদিনে সেই নাম আমার তুতো ভাইবোনদের কানে কীভাবে যেন পৌঁছে গেছিল। সুযোগ পেলেই আমাকে ক্ষ্যাপাত তারা। ছড়া কাটত।’
নাম নিয়ে শাহরুখ আরও বলেন, ‘আমার নামের মানে যদিও রাজপুত্রের মতো মুখ, তবে নিজেকে আয়নায় দেখে সেটা আমি একটু অদলবদল করে নিয়েছি। আমি এখন নিজের নামের অর্থ হিসেবে বলি প্রিন্স চার্লসের মতো আমার মুখ। ওর মতো আমার নাকও বেশ বড় তো। তাই আর কি!’