লকডাউন শব্দটির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে সারাবিশ্বের মানুষ। জায়ান্টা ভাইরাস কভিড-১৯ এর হাত থেকে বাঁচতে একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো এই লকডাউন। এই লকডাউনের কবলে পড়ে কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখ দেখেছে গোটা দুনিয়া। শোবিজেও এর মন্দ প্রভাব পড়েছে। বন্ধ রাখতে হয়েছে শুটিং, সিনেমার হল।
তবে গেল রোজা ঈদ উপলক্ষে সীমিত পরিসরে স্বাস্থবিধি মেনে শুটিং করার অনুমতি দেয়া হয়েছিলো বাংলাদেশে। এতে করে খানিকটা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পেরেছে নাটকের ইন্ডাস্ট্রি। বেশ কিছু নাটক ঈদ উপলক্ষে নির্মাণ হতে দেখা গেছে।
তবে আসন্ন কোরবানি ঈদ নিয়ে দেখা দিয়েছে জটিলতা। দেশে আবারও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার। এই লকডাউনের মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের অফিস বন্ধ থাকার কথা বলা হলেও সার্বিক বিষয়ে এখনো নির্দেশনা জারি হয়নি। তাই শুটিং চলবে কি না সে নিয়েও দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা।
বিশেষ করে নাটকের শুটিং নিয়ে কি সিদ্ধান্ত আসবে সেদিকে তাকিয়ে আছেন সবাই। কারণ, দুয়ারে দাঁড়িয়ে ঈদ। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন ঈদের নাটকের জন্য। অনেক প্রযোজক-পরিচালক এরইমধ্যে অনেক শিল্পীর শিডিউল নিয়ে অগ্রিম টাকাও পরিশোধ করেছেন। লকডাউনের কারণে শুটিং বন্ধ থাকলে তারা পড়ে যাবেন বিপদে।
তবে কাজের চেয়ে জীবনের মূল্যকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলো। ডিরেক্টর’স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সাগর এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘কাজ তো করতেই হবে। এমন অনেক শিল্পী ও কলাকুশলী আছেন যারা প্রতিদিনের আয় দিয়ে সংসার চালান। শুটিং বন্ধ থাকলে তারা দুচোখে অন্ধকার দেখেন। জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
কিন্তু জীবনের মূল্য তো সবার আগে। করোনার যে পরিস্থিতি এমন অবস্থায় সরকার বাধ্য হয়েই কড়া লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদের এ বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। যদি সবাই মিলে সচেতন থেকে করোনাকে রোধ করতে পারি তবে দ্রুতই হয়তো স্বাভাবিকতা ফিরে আসবে। আবারও কাজে ফেরা যাবে। তাই কষ্ট হলেও লকডাউনে সচেতন থাকতে হবে।’
শুটিং কি তবে বন্ধ থাকবে? এমন প্রশ্নের মুখে সংগঠনটির সেক্রেটারি সাগর বলেন, ‘এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি। আমরা আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল সংগঠনগুলোর সঙ্গে কথা বলছি। বৈঠক চলছে। গেল ঈদে আমরা কিছু বিষয় শিথিল করে শুটিং করতে পেরেছিলাম। এবারও সেই সুযোগ রাখা যায় কি না তার চেষ্টা করা হচ্ছে। আজ রাতেই হয়তো এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। অথবা আগামীকাল জানানো হবে।’
এদিকে সিনেমার সঙ্গে সম্পৃক্ত সংগঠনগুলোও শুটিংয়ের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।