রংপুরের মিঠাপুকুরে ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে ১০ বছরের এক শিশুকে হত্যা করে মরদেহ খাটের নিচে পুতে রাখার ঘটনায় অভিযুক্ত রাজা মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এরআগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) বিকালে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা এলাকার তালমার মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত ২৭ মে সন্ধ্যায় মিঠাপুকুর উপজেলার বুজরক সন্তোষপুর গ্রামের শিশুটি চিপস কেনার জন্য মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে বাড়ির পাশের দোকানে যায়। অনেক সময় অতিবাহিত হলেও বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খুঁজতে থাকে পরিবারের লোকজন। কিন্তু তাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একপর্যায়ে ভোরে প্রতিবেশী রাজা মিয়ার ঘরের খাটের নিচে মাটি খোঁড়া অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাদের সন্দেহ হলে মাটি খুঁড়ে শিশুটির হাত দেখতে পায় তারা। খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় বিস্কুট নিয়ে মেয়েটি রাজা মিয়ার কাছে আসলে সে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা করে। মেয়েটি চিৎকার দিতে শুরু করলে রাজা তার গলা টিপে ধরে। এতে তার শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। এরপর শিশুটির মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য সে ব্লেড দিয়ে তার গলা কাটে। কোদাল ও বটি দিয়ে ঘরের মধ্যে গর্ত করে লাশ গর্তের মধ্যে পুতে ফেলে উক্ত গর্ত পানি দিয়ে লেপে দিয়ে তার ওপর ধানের বস্তা রেখে দেয়। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদাল পাশের বাসাতে, বটি বেডের নিচে এবং রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত কাঁথা ও লুংগি পাশের পুকুরে পুতে রাখে। এরপর সে হত্যাকাণ্ড আড়াল করার জন্য সবার সাথে শিশুটিকে খুঁজতে থাকে। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। রাজা মিয়াকে গ্রেফতারের পর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।