প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয়ে ঢাকার সাভারে ফ্লাট দখল ও মালিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাইদুর রহমান ওরফে শেখ সাইদ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এমন কি ভুয়া চুক্তিপত্র দাখিল করে ইতোমধ্যে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির মালিককে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। এ অবস্থায় প্রাণভয়ে সপরিবারে নিজের বাড়ি ছেড়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রকৃত মালিক মনিরুল ইসলাম। নিজের প্রাণ বাঁচাতে ও ফ্লাট উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা মনিরুল। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান মনিরুল ইসলাম ও তার পরিবার।
মনিরুল ইসলাম বলেন, এক বছর আগে তিনি সাভার গেন্ডা এলাকার ডি-৩৫/৫ নম্বর বাড়ির ৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলার ফ্লাট ক্রয় করেন। নিজে পরিবারসহ তৃতীয় তলায় থাকলেও ৫ম তলার ভাড়াটিয়া মামুন ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা দখল করে নেয়। এরপর ভুয়া চুক্তিপত্র দাখিল করে জালিয়াতির মাধ্যমে স্বাক্ষর নকল করে তার কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। এরপরও ফ্লাটটি না ছাড়ায় চলতি মাসের ১১ তারিখে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং-৩২) দায়ের করি। পরে পুলিশ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।
মনিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সাইদুর রহমান কিছু দিন আগেও ছিলেন ১০ হাজার টাকা বেতনের গার্মেন্টস কর্মী। হঠাৎ করে নাম পরিবর্তন মো. সাইদুর হয়ে যান শেখ সাইদ। প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে শুরু করে জমি ও ফ্লাট দখল, ইয়াবা ব্যবসাসহ চাঁদাবাজি। গড়ে তোলে সন্ত্রাসী বাহিনী। অল্প দিনের মধ্যেই কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন সাইদুর রহমান। তার অবৈধ কর্মকাণ্ডের ভয়ে সাভারের গেন্ডা এলাকার কেউ মুখ খোলার সাহস করে না। তার হাত থেকে নিজের ফ্লাট ফিরে পেতে ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন মনিরুল ইসলাম। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুর রহমানের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।