সুইডেন পার্লামেন্টে হেরে প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন নেতৃত্বাধীন সুইডেন সরকারের পতন ঘটেছে। সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি নেতৃত্বাধীন সরকারের বিপক্ষে পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতারা ভোট দেওয়ায় সরকারের পতন ঘটল।
সুইডিশ ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনও প্রধানমন্ত্রী সংসদের ভোটাভুটিতে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হলেন। পার্লামেন্টে আস্থাভোটে হেরে যাওয়ায় দেশটির ক্ষমতাসীন সোস্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির নেতা ও প্রধানমন্ত্রী স্টেফান লোফভেন এখন পদত্যাগ অথবা নতুন সরকার গঠনে আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দেওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় পাবেন।
ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, সুইডেনের পার্লামেন্টের ৩৪৯ আইনপ্রণেতা রয়েছেন। সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ১৭৫ ভোটের দরকার হলেও মোট ১৮১ জন স্টেফান নেতৃত্বাধীন সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটদান থেকে বিরত থেকেছেন ৫১ জন। নবনির্মিত ভবনের ভাড়া কমানোর পরিকল্পনা ঘিরে ক্ষমতাসীন মধ্য-বামপন্থী সরকারের ওপর থেকে লেফট পার্টি তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর জাতীয়তাবাদী সুইডিশ ডেমোক্র্যাটরা পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের ডাক দেন।
ডেমোক্র্যাট নেতা জিমি আকেসন পার্লামেন্টে বলেছেন, ক্ষমতাসীন সরকার দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং ঐতিহাসিকভাবে দুর্বল। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকা উচিত নয়। ২০১৮ সালে ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর গ্রিন পার্টির সাথে আরও দুটি ছোট মধ্য-ডানপন্থী দল এবং লেফট পার্টির সমর্থন নিয়ে লোফভেন নড়বড়ে জোট গঠন করে সরকারে আসেন। তবে আবাসিক ভবনের ভাড়া হ্রাসের পরিকল্পনা ঘিরে যে সঙ্কট তৈরি হয়েছে; সেজন্য লেফট পার্টির নেতারা লোফভেনকে দায়ী করেছেন।
লেফট পার্টির নেতা নুশি ডাডগোস্তার বলেছেন, সোস্যাল ডেমোক্র্যাট সরকারকে লেফট পার্টি ছেড়ে যায়নি। বরং সোস্যাল ডেমোক্র্যাট সরকারই লেফট পার্টি এবং সুইডিশদের ত্যাগ করেছে। আগামী বছরের সেপ্টেম্বরে সুইডেনের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই নির্বাচনের আগে পর্যন্ত নতুন সরকার অথবা তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন দেশটি পরিচালনা করবে।