মাগুরার মহম্মদপুরের পলাশবাড়ীয়া গ্রামে পূর্ববিরোধের জেরে আলাউদ্দিন ওরফে পাখি মোল্যা (৫৫) নামে এক স্কুল শিক্ষককে মসজিদের ভেতরে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার (১৯ জুন) বিকেলে পলাশবাড়ীয়া উত্তর-পূর্বপাড়া মসজিদে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহত পাখি মোল্যা ঐ গ্রামের মৃত আবদুল হক মোল্যার ছেলে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিন জনকে আটক করেছে। মসজিদের ভেতরে হত্যার ঘটনায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতের ভাই ফিরোজ এলাহী মিন্টু বলেন, শনিবার বিকালে স্কুল শিক্ষক আলাউদ্দিন ওরফে পাখি মোল্যা উত্তর-পূর্বপাড়া মসজিদে আসরের নামাজ আদায় করতে যান। মসজিদে প্রবেশ করতেই আগে থেকে ওত পেতে থাকা একই গ্রামের রাসেল মোল্যা, রবিউল মোল্যা ও বাশী মোল্যা তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে তাকে।
মুমূর্ষু পাখি মোল্যার চিত্কারে স্থানীয়রা এসে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। রাত সাড়ে ১০টার দিকে সেখানে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় আটক তিন জন হলো, গ্রামের কুদ্দুস মোল্যার ছেলে রাসেল, শুকুর মোল্যার ছেলে কামরুল এবং বাদশা মোল্যার ছেলে সোহেল। ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মহম্মদপুর থানার ওসি তারক বিশ্বাস বলেন, এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।