মহামির করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই আইনজীবীদের দাবির মুখে আজ রোববার (২০) থেকে শারীরিক উপস্থিতিতে দেশের অধস্তন দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের আদেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো: আলী আকবর স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘অধস্তন সকল দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে আগামী ২০ জুন হতে শারীরিক উপস্থিতিতে স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে স্থানীয় প্রশাসন কর্তৃক কোনো জেলা সদর কিংবা মহানগরে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে চলাচলে বিধি-নিষেধ জারি হলে সংশ্লিষ্ট জেলা বা মহানগরের দেওয়ানী ও ফৌজদারী আদালত এবং ট্রাইব্যুনালসমূহে শারীরিক উপস্থিতি ব্যতিরেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে জামিন ও জরুরী দরখাস্ত শুনানি করা যাবে।’
এছাড়া দেওয়ানী ও ফৌজদারী মামলায় যে ক্ষেত্রে আদালতে পক্ষগণের উপস্থিতির আবশ্যকতা নেই সেক্ষেত্রে পক্ষগণের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট আইনজীবী আদালতে হাজিরা দাখিল করবেন। জামিন শুনানি এবং আমলি আদালতে ধার্য তারিখে হাজিরার জন্য কারাগারে থাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কারাগার হতে প্রিজনভ্যান বা অন্য কোনভাবে আদালত প্রাঙ্গণে বা এজলাস কক্ষে হাজির করার আবশ্যকতা নেই।
এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ‘আদালতের বিচারিক কর্মঘণ্টার প্রথম ভাগে (সকাল ৯:৩০ হতে দুপুর ১:১৫ পর্যন্ত) সাক্ষ্য গ্রহণ ও যুক্তিতর্ক/আপীল/রিভিশন/রিভিউ শুনানী এবং দ্বিতীয় ভাগে (দুপুর ২ টা হতে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত) জামিন সংক্রান্ত বিবিধ মামলা, জামিনের দরখাস্ত ও অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দরখাস্তসহ অন্যান্য দরখাস্ত শুনানী করতে হবে। আর আদালত প্রাঙ্গণ এবং এজলাস কক্ষে সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত হাইকোর্ট বিভাগের নিদের্শনা প্রতিপালন করতে হবে।’
এর আগে করোনাভাইরাসজনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দেশের অধস্তন দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত এবং ট্রাইব্যুনালগুলোতে অতি জরুরি বিষয় শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম চলে। তবে সম্প্রতি শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে আদালত পরিচালনার দাবিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন আইনজীবী সমিতিতে আন্দোলন ও মানববন্ধন করেন আইনজীবীরা।