বগুড়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সাংসদ আব্দুল মমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে দায়ের করা একাত্তরের গণহত্যা মামলার সাক্ষি সাংবাদিক সারোয়ার খান মৃত্যুবরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে দাফন করা হয় গ্রামের বাড়ি বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার গুণাহারে। বগুড়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের পর থেকেই সাংবাদিক দেশ বিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে সক্রিয় থেকে গণহত্যাকারীদের তথ্য সংগ্রহে জীবনের বেশির ভাগ সময় ব্যয় করেছেন। তিনি সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন তালুকদার খোকা ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীদের সহযোগিতা করেছেন বিএনপি-জামায়াত জোটের এরকম আরো কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ এবং তথ্য সরকারের কাছে দিয়েছেন।
তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক ভোরের কাগজ ও বগুড়া থেকে প্রকাশিত চাঁদনীবাজারসহ বেশ কয়েক প্রত্রিকায় কাজ করেছেন। তার মৃত্যুতে স্থানীয় সাংবাদিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন। ২০০৭ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে আদমদীঘি থানার রাজাকার কমান্ডার আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকার বিরুদ্ধে নিউজ করার পর থেকে তার আত্মীয় বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মিজানুর রাহমান খান সেলিমের রোষানলে পড়তে হয়। ২০২০ সালের ০৮ আগস্ট রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেছিলেন এম সারওয়ার খান।
তিনি সেদিন বলেছিলেন, ”আদমদীঘি থানা রাজাকার কমান্ডার আব্দুল মোমিন তালুকদার খোকা ও মিজানুর খান সেলিম পারিবারিক আত্মীয়। রাজাকার খোকার বিরুদ্ধে নিউজ করার পর থেকে আমাকে নানা প্রলোভন দেয়া হয়, টাকার প্রস্তাব দেয়া হয়। আমি এসব প্রত্যাখ্যান করে নিউজ করি, যা পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরেজমিন তদন্ত শুরু করে। এই মামলায় আমি আদালতে সাক্ষী দেয়ায় সেলিম শুধু আমাকে নয়, আমার পরিবারকেও নির্যাতন করে। আমার ছেলেকে মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হয়েছে।”