বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের বিকল্প খুঁজতে সরকারের কাছে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো গেজেট না হওয়ায় মঙ্গলবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ চার সপ্তাহের জন্য এ রিট শুনানি মূলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন।
সরকারের নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা মারা যাওয়ার পর তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানায় সংশ্লিষ্ট জেলা/উপজেলা প্রশাসন। ডিসি বা ইউএনও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে থাকেন। কফিনে সরকারের প্রতিনিধিত্বকারী কর্মকর্তা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে নারী কর্মকর্তাদের বিষয়ে আপত্তি তুলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
গত রোববার (১৩ জুন) সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে নারী ইউএনওদের বিকল্প খুঁজতে সরকারের কাছে সুপারিশ রাখা হয়েছে। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘গার্ড অব অনার’ দেয়ার ক্ষেত্রে দিনের বেলায় আয়োজন করা এবং নারী ইউএনও’র বিকল্প ব্যক্তি নির্ধারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (এফএলএডি) এর পক্ষে আইনজীবী কাজী মারুফুল আলম মঙ্গলবার হাইকোর্টে রিটটি করেন।
আবেদনে বেআইনি ও বৈষম্যমূলক এ সুপারিশ কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষনা করা হবে না সে মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। একই সাথে সুপারিশের ওপর স্থগিতদেশ চাওয়া হয়েছে। আবেদনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যানকে সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফাওজিয়া করিম ফিরোজ।