তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদসংস্থা বারনামাকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক ইউনূস এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, ‘এটা আমার নয়, এটা সেসব মানুষের চাওয়া, যারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। তারা যেভাবে চলতে চান, আমি শুধু তাদের সেভাবে চলতে সহায়তা করছি।’
গত ১১-১৩ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের আমন্ত্রণে দেশটিতে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর করেন প্রধান উপদেষ্টা।
সফরের শেষ দিকে বারনামার প্রধান সম্পাদক আরুল রাজু দুরার রাজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারটি দেন প্রধান উপদেষ্টা। সঙ্গে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল নিউজ সার্ভিসের সম্পাদক ভুন মিয়াও পিং ও বারনামার ইকোনমিক নিউজ সার্ভিসের সহকারী সম্পাদক কিশো কুমারী সুশেদারাম।
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি নিজের কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিই না। আমি অপেক্ষা করি এবং মানুষের ইচ্ছা কী তা দেখার জন্য অপেক্ষা করি। তারপর তা বাস্তবায়ন করি।’
অধ্যাপক ইউনূস নিজের বর্তমান ভূমিকা একজন নেতা নয় বরং গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার একজন অভিভাবক হিসেবেই তুলে ধরেন। তবে, নিজের সামনে থাকা বিশাল চ্যালেঞ্জগুলোও স্বীকার করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘বাংলাদেশে অসুবিধা অনেক। অনেকেই এটাকে ব্যাহত করতে চায়। বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত রাজনৈতিক শক্তিগুলো পুরো ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’
প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, ‘বাংলাদেশে গত দেড় দশকে অনেকে নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের বড় অংশ আগে কখনো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। কেউ ১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছেন। কেউ ১৫ বছর ধরে। একবার ভাবুন, আপনার ১৮ বছর বয়স হয়েছে, আপনি ভোট দিতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি সেই সুযোগ কখনো পাননি। এর কারণ হলো— কখনো সুষ্ঠু নির্বাচনই হয়নি। এখন তারা ১৫ বছরের মধ্যে প্রথমবার ভোট দিতে পারবেন।’