বাংলাদেশের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সমাপ্তি খুব সুখকর হলো না। শক্তিশালী ওমানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ হারবে অনুমেয় ছিল। এরপরও কোচ ও অধিনায়ক তপু বর্মণ ১ পয়েন্টের আশা দেখিয়েছেন। কিন্তু কাতারের জসিম বিন হামিদ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ওমান বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরবর্তী রাউন্ডে খেলার সম্ভাবনা জিইয়ে রাখল।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ওমান। দ্বিতীয়ার্ধে খালিদ আল হাজরি জোড়া গোল করেন। ৬১ মিনিটে বক্সের মধ্যে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন। নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন ৭৭ মিনিটে। বাংলাদেশ আরও বড় ব্যবধানে হারতে পারতো ক্রসবার ওমানের প্রতিপক্ষ না হয়ে দাঁড়ালে। ওমানের ফরোয়ার্ডদের ৩টি শট ক্রসবারে লেগে ফেরত আসে। ২০১৯ সালে প্রথম লেগে ওমান নিজেদের মাঠে বাংলাদেশকে ৪-১ গোলে হারিয়েছিল।
প্রথমার্ধে বাংলাদেশ অনেক রক্ষণাত্মক খেলেও শেষ পর্যন্ত ১ গোল হজম করেছে। ২২ মিনিটে ওমান ম্যাচে লিড নেয়। ডান প্রান্ত থেকে সংঘবদ্ধ এক আক্রমণে ওমানর উইঙ্গারের বাড়ানো ক্রসে আল গাফরি দুই ডিফেন্ডারের পেছন থেকে এসে গোলরক্ষকের সঙ্গে হাত মেলানো দূরত্বে থাকেন। প্লেসিং শটে গোল করেন ( ১-০)।
ম্যাচের শুরু থেকে নিয়ন্ত্রণ ওমানের। চার মিনিটে প্রথম কর্নার পায় ওমান। সেই কর্নার থেকে অবশ্য বাংলাদেশের জন্য বিপদজনক কিছু হয়নি। মিনিট দুই পর বাংলাদেশ ওমানের অর্ধে বল নেয় বাংলাদেশ। ফরোয়ার্ড মতিন বল কয়েক সেকেন্ডের বেশি রাখতে পারেননি। র্যাংকিংয়ে দুই দলের পার্থক্য বিস্তর সেটা মাঠে স্পষ্ট। বক্সের বাইরে কয়েকবার বাংলাদেশকে ফাউল করে প্রতিপক্ষকে ফ্রি কিক দিয়েছে। ১৮ মিনিটে গোল লাইন সেভ করেছেন ইব্রাহিম। ১৬-১৮ মিনিটের মধ্যে টানা চারটি কর্নার আদায় করে ওমান।