সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Tuesday, August 5, 2025
  • Login
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
সময়ের দাবী
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • বর্তমান বিশ্ব
  • দেশজুড়ে
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • শিক্ষা
  • বিনোদন
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী
  • English
No Result
View All Result
সময়ের দাবী
No Result
View All Result
Home বর্তমান বিশ্ব

হাসিনার পতনের দিন দিল্লিতে দিনভর যা যা ঘটেছিল

August 5, 2025
in বর্তমান বিশ্ব
Reading Time: 1min read
A A
0
হাসিনার পতনের দিন দিল্লিতে দিনভর যা যা ঘটেছিল
Share on FacebookShare on Twitter

২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট (সোমবার) ছিল ভারতে পার্লামেন্টের মনসুন সেসনের শেষ সপ্তাহের প্রথম দিন। অধিবেশনে অনেকগুলো জরুরি বিল তখনও পাস করানোর বাকি, অথচ হাতে সময় খুব কম–কাজেই ট্রেজারি বেঞ্চের ব্যস্ততা ছিল তুঙ্গে। রাজধানীতে নেতামন্ত্রীদের দৌড়োদৌড়ি চলছিল যথারীতি।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে আস্থাভাজন তিন লেফটেন্যান্টের (পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ) সতর্ক নজর রাখতে হচ্ছিল একটি প্রতিবেশী দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের দিকে।

সেদিন সকাল থেকেই বাংলাদেশে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়ে লাখ লাখ বিক্ষোভকারীর রাজধানীকে অবরুদ্ধ করে ফেলার কথা – শেখ হাসিনা কীভাবে সেই পরিস্থিতি সামাল দেন, এই তিনজন চোখ রাখছিলেন সে দিকেই। কারণ সেই আন্দোলনের পরিণতি যা-ই হোক, ভারতের ওপর তার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়তে বাধ্য এবং যতই হোক, প্রধানমন্ত্রীর টিমে দেশের অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্রনীতির প্রধান কান্ডারী এই তিনজনই। তাদের প্রত্যেকের কাছেই গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ‘ব্রিফ’ ছিল – শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি ঠিকই, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি হয়তো এই সংকটও ‘সারভাইভ’ করে যাবেন।

কেন তিনি বিপদটা উতরে যাবেন বলে মনে করা হচ্ছে, তার একাধিক কারণও দেখানো হয়েছিল। ঠিক এই জন্যই ৫ অগাস্ট সকালেও ভারত সরকারের শীর্ষ নীতিনির্ধারকরা ঘুণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি, দিনের শেষে সেই শেখ হাসিনাই নাটকীয় পরিস্থিতিতে ভারতের মাটিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন।

এমনিক, ৫ অগাস্টের আগে শেষবার (সম্ভবত ৪ অগাস্টেই) যখন হটলাইনে প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথাবার্তা হয়, তখনও এই ধরনের কোনও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনাই হয়নি। তবে দুই দেশের দুই সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান, ভারতের জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ও বাংলাদেশের জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান অবশ্য তার কয়েকদিন আগে থেকেই নিজেদের মধ্যে সার্বক্ষণিক যোগাযোগে ছিলেন। পরিস্থিতি নিয়ে তাদের মধ্যে আলোচনা হচ্ছিল এবং বাংলাদেশের মাটিতে সেনা পাঠানোর কোনও সম্ভাবনা না থাকলেও ভারত যে অন্যসব রকমভাবে সাহায্য করতে প্রস্তুত – সেই বার্তাও দিয়ে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫ অগাস্ট যেভাবে ঘটনাপ্রবাহ মোড় নিল বা ‘আনফোল্ড’ করল, তার জন্য দিল্লি যে ঠিক ‘প্রস্তুত’ ছিল সে কথা বলা যাবে না। কারণ জীবন বাঁচাতে শেখ হাসিনাকে শেষ পর্যন্ত দেশত্যাগ করতে হবে – প্রায় ধরেই নেওয়া হয়েছিল এরকম সম্ভাবনা খুব ক্ষীণ।

শেখ হাসিনা নিজে এসেছিলেন তো বটেই, সেদিন রাতের মধ্যেই ভারতীয় দূতাবাসের বেশিরভাগ কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের কমার্শিয়াল ফ্লাইটে কলকাতা বা দিল্লি উড়িয়ে আনা হয়েছিল।

বাংলাদেশে চলমান আন্দোলনের একটা স্পষ্ট ‘ভারত-বিরোধী’ মাত্রা আছে এটা জানা থাকলেও ঢাকাতে ভারতের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রধান কেন্দ্র ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে সেদিনই ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে, এটাও ভারতীয় কর্মকর্তাদের কল্পনার বাইরে ছিল। আসলে ৫ অগাস্ট সকালের পর থেকেই বাংলাদেশে একটার পর একটা নাটকীয় ডেভেলপমেন্ট সেদিন দিল্লির সব অঙ্ক এলোমেলো করে দিয়েছিল।

ঢাকা থেকে দিল্লিতে পরপর দুটো ফোন

৫ অগাস্ট বেলা ১২টার পর প্রায় একই সময় নাগাদ ঢাকা থেকে দিল্লিতে পরপর দুটো ফোন আসে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর নিজেই পরে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে যে তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম ফোনটা এসেছিল খোদ শেখ হাসিনার কার্যালয় থেকে, কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের হাসিনা নিজেই। জয়শংকর অবশ্য ভাঙেননি তিনি কার কাছে ফোন করেছিলেন, তবে প্রোটোকল বলে এই ধরনের পরিস্থিতিতে সাধারণত কথা হয়ে থাকে দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেই।

ভারত ততক্ষণে জেনে গেছে, দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী হাসিনা পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। এরপরই দিল্লিতে টেলিফোন করে তিনি অনুরোধ করেন, তাকে ‘তখনকার মতো’ ভারতে আসার অনুমোদন দেওয়া হোক। সেই অনুরোধে সঙ্গে সঙ্গেই ইতিবাচক সাড়া দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ফোনটা আসে একটু পরেই, বাংলাদেশের বিমানবাহিনীর কাছ থেকে দিল্লিতে ভারতের এয়ারফোর্স কমান্ডের কাছে। শেখ হাসিনাকে বহনকারী সামরিক বিমান যাতে ভারতের নির্দিষ্ট কোনও বিমানঘাঁটিতে অবতরণ করার অনুমতি পায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সেই ‘ক্লিয়ারেন্স’ চেয়ে করা হয় এই দ্বিতীয় ফোনটা। সেই অনুমতিও দেওয়া হয় সঙ্গে সঙ্গেই। এই দ্বিতীয় ফোনটার অবশ্য একটা বিশেষ ‘পটভূমি’ বা ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ আছে।

‘আসতে হবে বাংলাদেশের এয়ারক্র্যাফট বা চপারেই’

বিবিসি বাংলা জানতে পেরেছে, শেখ হাসিনার জীবন বাঁচাতে হলে তাকে দ্রুত দেশের বাইরে পাঠাতে হবে––বাংলাদেশের সেনাবাহিনী এটা বোঝার পর পরই ভারতকে অনুরোধ করেছিল যেন বিশেষ বিমান পাঠিয়ে তাকে ঢাকা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভারতের রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্ব সেই অনুরোধ সরাসরি খারিজ করে দেন।

তাদের অবস্থান ছিল, শেখ হাসিনাকে ভারতে আসতে হলে – যদি সেটা খুব অল্প সময়ের জন্যও হয়, তাহলেও তাকে বাংলাদেশের কোনও বিমানে বা হেলিকপ্টারে চেপেই আসতে হবে। হেলিকপ্টারে হলে সীমান্তের কাছাকাছি কলকাতা বা আগরতলাতে আনা যেতে পারে, সেই প্রস্তাবও দেওয়া হয়। এবং তিনি কীসে আসবেন, সেটা চূড়ান্ত করা হলে সেই ফ্লাইটের জন্য বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে ফর্মাল ক্লিয়ারেন্সও চাইতে হবে বলেও জানানো হয়।

সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ বিমানবাহিনী শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গীদের জন্য একটি সিজে-১৩০ সামরিক ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্র্যাফট প্রস্তুত করে এবং সেটি দিল্লির উপকণ্ঠে গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামবার অনুমতি পায়। এই অবস্থান নেওয়ার কারণ একটাই, দিল্লি চায়নি পরে এ কথা বলার কোনও সুযোগ তৈরি হোক যে ভারতই বাংলাদেশ থেকে তাদের ‘বন্ধু’কে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছে বা পালাতে সাহায্য করেছে।

ফলে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সামরিক বিমানে চেপে দিল্লির কাছে এসে নামার পর ভারত সরকারের কর্মকর্তারা বরং এই যুক্তিই দিতে পেরেছেন যে ‘আমরা নিজেরা গিয়ে উনাকে আনিনি, বাংলাদেশ সেনাই তাকে এখানে পৌঁছে দিয়ে গেছে!’

পার্লামেন্টে দিনভর চাপা ফিসফিসানি

এদিকে শেখ হাসিনাকে ঢাকা থেকে ভারতে চলে আসতে হচ্ছে, দুপুরের পর থেকে এ খবর দিল্লিতেও দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি প্রথমে আগরতলায় যাচ্ছেন, নাকি শিলিগুড়ি বা দিল্লি – তা নিয়েও চলছে জল্পনা।

ফ্লাইটরাডার বা ফ্লাইটস্ট্যাটের মতো বিভিন্ন ট্র্যাকিং সাইটে অনেকে নেহাত শখের বশেও খুঁজতে শুরু করেছেন কোন বিমানটি শেখ হাসিনাকে নিয়ে যেতে পারে! বেশ কয়েকটি স্যুটকেসসহ গণভবনের কাছ একটি হেলিপ্যাড থেকে তার চপারে ওঠার যে বিখ্যাত ছবি এখন ‘ভাইরাল’। বাইরে এত কিছু ঘটে গেলেও পার্লামেন্টের ভেতরে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সরকার কিন্তু তখনও সম্পূর্ণ নীরব।

পার্লামেন্টে সেদিন কিন্তু বিরোধীদের কোনও ওয়াকআউটও হয়নি, সভাও মুলতুবি হয়নি। সংসদের অন্যান্য কাজ বা বিল পেশ চলছিল পুরো দমেই। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে লোকসভায় বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আচমকাই উঠে দাঁড়িয়ে বলতে শুরু করেন, আমাদের ঘরের পাশে বাংলাদেশে যে তীব্র সহিংসতা চলছে …! তখন স্পিকারের চেয়ারে ছিলেন বিজেপি নেতা ও উত্তরপ্রদেশের এমপি জগদম্বিকা পাল।

পশ্চিমবঙ্গের এমপিকে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে থামিয়ে দিয়ে তিনি বলে ওঠেন, সুদীপবাবু আপনি আগে নিজের দেশের পরিস্থিতি নিয়ে ভাবুন। বাংলাদেশের কথা পরে ভাবলেও চলবে।

সভার বাইরে ততক্ষণে ট্রেজারি বেঞ্চের পক্ষ থেকে বিরোধী দলের নেতাদের আলাদা করে ডেকে নিয়ে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে খুবই ‘ফ্লুইড’, ঘটনার গতিপ্রকৃতি কোনদিকে যাচ্ছে তা বোঝা মুশকিল – ফলে পার্লামেন্টে এখনই সরকারের বিবৃতির জন্য বিরোধীরা যেন চাপাচাপি না করেন।

কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দলই সরকারের এই অনুরোধ মেনে নেয়। সরকার আরও আশ্বাস দেয়, বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে পরদিন (৬ অগাস্ট) সকালেই পার্লামেন্টে অ্যানেক্স ভবনে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হবে। সংসদের অধিবেশন বসার আগেই সব দলের নেতাদের নিয়ে সেই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর ছাড়াও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী সেই বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের ‘দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি’ স্ট্র্যাটেজি সম্বন্ধে জানতে চান। বৈঠকের পর মি জয়শংকর টুইট করে ‘সর্বসম্মত সমর্থনে’র জন্য সব দলকে ধন্যবাদও জানান।

সেদিনই বিকেলের পর পার্লামেন্টে ‘সুয়ো মোটো’ (স্বত:প্রণোদিত) বিবৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদকে বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে অবগত করেন এবং কোন পরিস্থিতিতে ভারত শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে, সেটাও ব্যাখ্যা করেন।

শেখ হাসিনার ‘চূড়ান্ত গন্তব্য’ নিয়ে বিভ্রান্তি

৫ অগাস্ট দুপুরে যখন শেখ হাসিনাকে ভারতে আসার আনুষ্ঠানিক অনুমতি দেওয়া হয়, সেই প্রথম মিনিট থেকেই ভারতের ধারণা ছিল তার এই আসাটা একেবারেই ‘সাময়িক’  এবং এটা তৃতীয় কোনও দেশে রওনা হওয়ার আগে বড়জোর একটা সংক্ষিপ্ত স্টপওভার।

শেখ হাসিনা নিজেও ‘তখনকার মতো’ ভারতে আসতে চেয়েছিলেন, যেটা প্রতিবেদনে আগেই উল্লেখ করা হয়েছে।

লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, এই সেদিন পর্যন্ত – মানে মাত্র তিন-চার মাস আগেও যখনই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে শেখ হাসিনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে, তিনি সব সময়ই বলেছেন ভারতে তার থাকাটা ‘সাময়িক’।

ভারত যে তার ‘সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য’ আশ্রয় দিয়েছে এবং সেটা শুধু ‘তখনকার মতো’ (ফর দ্য মোমেন্ট) – এটাই আজ পর্যন্ত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত অবস্থান।

তবে ৫ অগাস্ট বিকেল থেকেই দিল্লি প্রবল জল্পনায় সরগরম ছিল, তিনি শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে কোন দেশে পাড়ি দিচ্ছেন! ব্রিটেন তো তালিকায় ছিলই, সঙ্গে নরওয়ে বা সুইডেনের মতো কোনও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশ বা এমনকি বেলারুশের কথাও শোনা যাচ্ছিল।

এদিকে শেখ হাসিনার খবরাখবর জানতে চেয়ে নর্থ ব্লকে (স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে) খুব পুরনো ও নির্ভরযোগ্য একজন সোর্সকে সকাল থেকেই হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠাচ্ছিলাম – মেসেজগুলো দেখলেও যেকোনও কারণেই হোক তিনি উত্তর দিচ্ছিলেন না।

হাসিনার ‘ফাইনাল ডেস্টিনেশন’ বা চূড়ান্ত গন্তব্যটা কী, এই প্রশ্নের জবাবে হঠাৎ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার উত্তর এলো : ‘দিল্লি জাস্ট একটা লে-ওভার। যাচ্ছেন আপনাদের (বিবিসির) দেশেই!’

আসনে শেখ হাসিনা তখনও বাংলাদেশের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টধারী, সঙ্গী বোন শেখ রেহানাও যুক্তরাজ্যের দ্বৈত নাগরিক – ফলে ৫ অগাস্ট রাতেই দিল্লি থেকে তারা অনায়াসে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হয়ে যাবেন, ভারত সরকার প্রথমে এমনটাই ভেবেছিল। কিন্তু ব্রিটিশ সরকার সেই পরিকল্পনায় বাদ সাধে। দিল্লিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে নতুন প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টার্মারের সরকার ভারতকে জানিয়ে দেয়, শেখ হাসিনাকে এখনই তারা সেদেশে আসতে দিতে পারছে না।

অথচ তারা আসলে তৃতীয় কোনও দেশে যাচ্ছেন, এই ভাবনাতেই বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সিজে-১৩০ এয়ারক্র্যাফটকে সে রাতে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতেই থেকে যেতে বলা হয়েছিল – সেটিকে ঢাকাতে ফিরতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু সেটা যে খুব শিগগিরি ঘটছে না, এটা পরিষ্কার হয়ে যাওয়ার পর মঙ্গলবার (৬ অগাস্ট) সকাল ১০টা নাগাদ বিমানটি আবার ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়ে যায়।

দিল্লিতে রেখে যাওয়া যাত্রীদের ভারতবাস যে মোটেই ‘সাময়িক’ হচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট হতে অবশ্য তখনও আরও কয়েকদিন বাকি!

‘প্রণব বাবুর জায়গা নিয়েছেন অজিত ডোভাল’

ঘটনাবহুল সেই ৫ অগাস্টের সন্ধেবেলা থেকেই ভারতে শেখ হাসিনার অঘোষিত অভিভাবকের ভূমিকা পালন করছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা তথা বর্ষীয়ান ‘স্পাইমাস্টার’ অজিত ডোভাল। তার সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে শেখ হাসিনার পরিচয় দীর্ঘদিনের, বিগত এক দশকে ঢাকায় তিনি ঘোষিত ও অঘোষিত বহু সফর করেছেন।

৫ অগাস্ট সন্ধ্যায় হিন্ডন বিমানঘাঁটিতেও প্রধানমন্ত্রী মোদির দূত হিসেবে তিনিই শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানাকে স্বাগত জানান। পরবর্তী এক বছর ধরে শেখ হাসিনা কোথায় বা কীভাবে থাকবেন, তার নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা হবে, তিনি হাতেগোনা বা বাছাই করা কোন কোন ব্যক্তির সঙ্গে কোথায় কীভাবে দেখা করবেন – তার প্রায় সবটাই এখন নির্ধারিত হচ্ছে অজিত ডোভালের তত্ত্বাবধানে।

প্রসঙ্গত, যখনই বিদেশের কোনও হাই-প্রোফাইল রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ভারতে আশ্রয় বা আতিথেয়তা দেওয়া হয়, ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা সেই অতিথিদের জন্য শুরুতে নিয়মিত ‘ডিব্রিফিং সেসন’ করে থাকেন।

৬৫ বছর আগে তিব্বতি ধর্মগুরু দালাই লামার জন্যও একই ব্যবস্থা ছিল। এখন শেখ হাসিনার জন্য যে সেসনগুলো করা হয়েছে, তার কয়েকটি ডোভাল নিজে পরিচালনা করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।

অতীতে শেখ মুজিবের মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা যখন ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত সপরিবার দিল্লিতে ছিলেন, তখন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নির্দেশে তার স্থানীয় অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা প্রণব মুখার্জি। সেই সুবাদে তারা ঘনিষ্ঠ পারিবারিক বন্ধু হয়ে উঠেছিলেন, প্রণব মুখার্জিকে শেখ হাসিনা আজীবন ‘কাকাবাবু’ বলেও সম্বোধন করে এসেছেন।

শেখ হাসিনার এই পর্বের ভারতবাস সম্বন্ধে খুব ভালোভাবে অবহিত, এমন একজন কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, সেই প্রায় ৫০ বছর আগে প্রণব মুখার্জি শেখ হাসিনার জন্য যে ভূমিকাটা পালন করেছিলেন, বলতে পারেন এখন ঠিক সেই জায়গাটাই নিয়েছেন অজিত ডোভাল। সূত্র: বিবিসি বাংলা

 

Share61Tweet38Share15
Previous Post

স্ত্রীর মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে স্বামীর মরদেহ নিয়ে গেল প্রতিপক্ষ

Next Post

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া!

Related Posts

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া!
বর্তমান বিশ্ব

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া!

August 5, 2025
সৌদিতে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার
বর্তমান বিশ্ব

সৌদিতে ২২ হাজারের বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

August 4, 2025
যেকোনো লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আঘাত হানার উচ্চক্ষমতার ট্যাংক প্রদর্শন করল ইরান 
বর্তমান বিশ্ব

যেকোনো লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আঘাত হানার উচ্চক্ষমতার ট্যাংক প্রদর্শন করল ইরান 

August 4, 2025
মস্কো-ওয়াশিংটন উত্তেজনা: বাড়ছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা
বর্তমান বিশ্ব

মস্কো-ওয়াশিংটন উত্তেজনা: বাড়ছে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা

August 4, 2025
চীন-পাকিস্তান সিল্ক রোডে যুক্ত হতে চায় ইরান : পেজেশকিয়ান
বর্তমান বিশ্ব

চীন-পাকিস্তান সিল্ক রোডে যুক্ত হতে চায় ইরান : পেজেশকিয়ান

August 3, 2025
ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা
বর্তমান বিশ্ব

ইসরায়েলের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা পুনর্ব্যক্ত করল কানাডা

August 3, 2025
Next Post
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া!

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে থাকা পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গেল রাশিয়া!

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Recent News

ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন ৫ আগস্ট: প্রধান উপদেষ্টা

ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন ৫ আগস্ট: প্রধান উপদেষ্টা

August 5, 2025

Categories

  • Uncategorized
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • জাতীয়
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • বিনোদন
  • রাজনীতি
  • শিক্ষা
  • সময়ের দাবী
  • সম্পাদকীয়

Site Navigation

  • Home
  • Advertisement
  • Privacy & Policy
সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

No Result
View All Result
  • প্রথম পাতা
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • দেশজুড়ে
  • বর্তমান বিশ্ব
  • অর্থনীতি
  • খেলার সংবাদ
  • বিনোদন
  • শিক্ষা
  • তথ্য ও প্রযুক্তি
  • সম্পাদকীয়
  • সময়ের দাবী

© 2021 - All Rights Reserved by Somoyerdabibd.com

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Create New Account!

Fill the forms below to register

All fields are required. Log In

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা
  • রাষ্ট্রপতি নিয়োগের রিট খারিজ, আইনজীবীকে লাখ টাকা জরিমানা