সাঁজোয়া কিংবা নিরস্ত্র যানসহ যে-কোনো লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আঘাত হানার উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা রয়েছে এমন একটি ট্যাংক তৈরি করেছে ইরান। এই ট্যাঙ্কটি ১২৫ মিমি কামান দিয়ে সজ্জিত যা বর্ম-ভেদকারী শেল এবং ক্লাস্টার শেলসহ বিভিন্ন রিকমের গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
জানা গেছে, ইরানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সুপরিচিত সামরিক সরঞ্জামগুলোর একটি হল দেশীয় প্রযুক্তির কার্রর ট্যাঙ্ক। দেশের প্রতিরক্ষা শিল্প সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এই ট্যাংকের ডিজাইন করে দেশেই তৈরি করা হয়েছিল কার্রর। কার্রর ট্যাঙ্কটি ইরানি স্থল বাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং বিদেশী ট্যাঙ্কের ওপর নির্ভরতা হ্রাস করার লক্ষ্যে প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।
কার্রর ট্যাঙ্কটির ওজন প্রায় ৫১ টন। উন্নত যৌগিক বর্ম বা শিল্ড ব্যবহার করার কারণে এই ট্যাঙ্ক বর্ম-ভেদকারী গোলা, ট্যাঙ্ক-বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কিংবা বিস্ফোরকের বিরুদ্ধে উল্লেখযোগ্য সুরক্ষা প্রদান করতে সক্ষম। এই ট্যাঙ্কটি ১২৫ মিমি কামান দিয়ে সজ্জিত যা বর্ম-ভেদকারী শেল এবং ক্লাস্টার শেলসহ বিভিন্ন রিকমের গোলাবারুদ নিক্ষেপ করতে সক্ষম। সাঁজোয়া কিংবা নিরস্ত্র যানসহ যে-কোনো লক্ষ্যবস্তুর বিরুদ্ধে আঘাত হানার উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা রয়েছে কার্রর ট্যাঙ্কের।
কার্রর-এ একটি উন্নত অগ্নি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও রয়েছে যা নাইট ভিশন ক্যামেরা, লেজার টার্গেট ডিজাইনিং এবং স্বয়ংক্রিয় লক্ষ্য সমন্বয় ব্যবস্থার সাহায্যে কঠিন পরিস্থিতিতেও নির্ভুলভাবে গুলি চালানোর সুযোগ করে দেয়। এই ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন এতোই শক্তিশালী যে রাস্তায় ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারে এবং অসমতল ভূখণ্ডেও সমানভাবে চলতে পারে।
কার্রর ট্যাঙ্কের একটি সুবিধা হল আধুনিক হুমকি মোকাবেলা করার ক্ষমতা রয়েছে। সেইসাথে ডিজিটাল কমান্ড এবং গ্রুপ অপারেশনে আরও ভাল সমন্বয়ের সুযোগ করে দেয়। এই ট্যাঙ্কের দেশীয় ডিজাইন, ভারী সাঁজোয়া সরঞ্জাম তৈরি এবং সেনাবাহিনীর যুদ্ধ ক্ষমতা উন্নত করার ক্ষেত্রে ইরানি প্রতিরক্ষা শিল্পের অগ্রগতিরই প্রমাণ বহন করে। সামগ্রিকভাবে, কার্রর ট্যাঙ্কটি স্থল সামরিক সরঞ্জামের ক্ষেত্রে ইরানের স্বয়ংসম্পূর্ণতার প্রতীক এবং দেশের স্থল বাহিনীর প্রতিরক্ষা ক্ষমতা উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। সূত্র: পার্সটুডে
