জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপচয় ও পাচারে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন। এর সব দায় বর্তমান সরকারের। এ বাজেট জনগণের জন্য নয়, একটা বিশেষ শ্রেণির স্বার্থ রক্ষায় বাজেট প্রণীত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুন) ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট পর্যালোচনায় জেএসডি আয়োজিত ‘বিপজ্জনক আয় বৈষম্য’ শীর্ষক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। করোনা এবং অর্থনৈতিক বাস্তবতার নিরিখে, আর্থ সামাজিক পরিবর্তন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, কর্মসংস্থান ও বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে আ স ম রব দলের উত্থাপিত ৮ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানান।
৮ দফা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিপজ্জনক আয় বৈষম্য কমানোর জন্য ব্যাপক সংস্কার, দুর্নীতি ও অপচয় রোধসহ সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘস্থায়ী সুসমন্বিত এক মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠন করতে হবে। টিকা উৎপাদনে রাষ্ট্রীয় পরিকল্পনা গ্রহণ ও বেসরকারি খাতে সহায়তা দিতে হবে। কর্মহীন কয়েক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান, খাদ্য, চিকিৎসা ও বাসস্থানের স্থায়ী পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। সব হতদরিদ্র পুরুষ, নারী ও শিশু সামাজিক সুরক্ষার বেষ্টনীর ভেতরে আনয়ন ও বরাদ্দ বৃদ্ধিকরণ, উপকারভোগী বাছাইয়ে দলীয়করণ বন্ধ করতে হবে। সংস্কৃতি ক্ষেত্রে বাজেট বৃদ্ধি করা, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপর আরোপিত ট্যাক্স বাতিল করা এবং কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের ন্যায় সঙ্গত অধিকার নিশ্চিত করারও দাবি জানান তিনি।
আলোচনা সভায় জেএসডির লিখিত প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন দলের কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, নাগরিক ঐক্যর আহবায়ক মাহমুদর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার, জেএসডি নেতা সা কা ম আনিসুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া ও বাবু হিরালাল চক্রবর্তী প্রমুখ।