স্থানীয় সময় শুক্রবার (১ আগস্ট) ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের অত্যন্ত উসকানিমূলক বক্তব্যের ভিত্তিতে আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে সঠিক এলাকায় অবস্থান নিতে বলেছি।” খবর বিবিসির।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের বেপরোয়া এবং উগ্র মন্তব্য কোনো দুর্ঘটনাজনিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে—আমি আশা করি এবার তা হবে না।”
তবে ট্রাম্প কোথায় এই সাবমেরিনগুলো মোতায়েন করেছেন, তা বলেননি। মার্কিন সামরিক প্রোটোকল অনুযায়ী এসব তথ্য গোপন রাখা হয়।
ট্রাম্প পরিস্কারভাবে বলেননি, সাবমেরিনগুলো কেবল পারমাণবিক শক্তি-চালিত, না পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত।
এর আগে রাশিয়ার নিরাপত্তা পরিষদের উপপ্রধান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মেদভেদেভ ট্রাম্পের একাধিক হুমকির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেন। ট্রাম্প সম্প্রতি রাশিয়াকে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন এবং একটি নির্দিষ্ট সময়সীমাও বেঁধে দেন—আগামী ৮ আগস্টের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার তেলের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দেন।
মেদভেদেভ এসব আল্টিমেটামকে “যুদ্ধের পথে পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এটি একটি থিয়েট্রিক্যাল নাটক, আর রাশিয়া এতে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিচ্ছে না।”
তিনি বৃহস্পতিবার টেলিগ্রামে পোস্টে “ডেড হ্যান্ড” হুমকির কথা বলেন, যেটিকে সামরিক বিশ্লেষকরা রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিশোধ ব্যবস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
ট্রাম্প এর জবাবে মেদভেদেভকে “রাশিয়ার ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট” আখ্যা দিয়ে সতর্ক করেন বলেন—“ভেবেচিন্তে কথা বলো, তুমি খুব বিপজ্জনক পথে হাঁটছ!”
মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও ইউক্রেনে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধের একজন প্রবক্তা। এদিকে ট্রাম্প ও মেদভেদেভের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ব্যক্তিগত আক্রমণ ও উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় চলছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন পারমাণবিক প্রস্তুতির ঘোষণা বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়াবে, বিশেষ করে যখন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশেরই বিশাল পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে।
তবে এখনো ক্রেমলিন এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ট্রাম্পের বিবৃতির পর মস্কোর শেয়ারবাজারে বড় পতন লক্ষ্য করা গেছে।